নফল সালাত - صَلاةُ التَّطوُّعِ

নফল হলো, ফরয ও ওয়াজিবের অতিরিক্ত যে সব ইবাদত আল্লাহ বিধিবদ্ধ করেছেন। তন্মধ্যে রয়েছে নফল সালাত। আর তা হলো, ফরয সালাতের অতিরিক্ত নফল ও সুন্নাত (রাতেবাহ) সালাতসমূহ। যেমন, কিয়ামুল লাইল, দুহার সালাত এবং সাধারণ নফল ও এ জাতীয় অন্যান্য সালাত।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

বিতরের সালাত - صَلاةُ الوِتْرِ

বিতরের সালাত: এটি এমন সালাত যা এশার সালাত এবং ফজর উদয়ের মাঝখানে আদায় করা হয়। আর এ দ্বারা রাতের সালাত শেষ করা হয়। এটির সর্বনিম্ন রাকআত হলো এক রাকাআত। আর অধিক রাকাতের কোন সীমানা নাই। তবে মুস্তাহাব হলো এগারো রাকাত। বিতরকে বিতর নামে নামকরণ করার কারণ হলো, এর রাকাত সংখ্যা বিজোড়। হয় এটি এক রাকাত বা তিন রাকাআত বা পাঁচ রাকাত ইত্যাদি।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

জামাতের সালাত - صَلاةُ الجَماعَةِ

ইসলাম মুসলিমদের ঐক্য ও ইবাদাতের ক্ষেত্রে পরস্পরের সহযোগীতার ওপর গুরুত্বারোপ করে থাকে। এ কারণে আল্লাহ আমাদের জন্য জামাআতবদ্ধ কিছু ইবাদতের প্রচলন করেছেন যা মানুষ একা একা আদায় করতে পারে না। যেমন, নসিহত, ভালো কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করা, হজ করা। অনুরূপভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাআতের সাথে আদায় করা। আর এতে রয়েছে অনেক উপকার। অপরাগতা না থাকলে তা যে ওয়াজিব সে বিষয়ে অনেক প্রমাণ রয়েছে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

অনুবাদ - تَرْجَمَةٌ

তরজমা দুই প্রকার: ১- শাব্দিক অনুবাদ। আর তা হলো, বাক্যের শাব্দিক আকৃতি বা ইবারাতের ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা। ২- কথার অর্থের অনুবাদ: আর তা হলো, এমন শব্দাবলী দ্বারা বক্তব্যটি ব্যক্ত করা যা তার অর্থ ও উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে। অনুবাদটি এখানে ব্যাখ্যার স্তরে হবে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত। - الصَّلاةُ على النَّبِيِّ صلّى اللهُ عليه وسلّم

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত পড়া একটি মহান ইবাদত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তার সম্মান ও মর্যাদা। সালাতের শব্দাবলীর অন্যতম হলো صلّى اللهُ عليه وسلّم বলা (আল্লাহ তার ওপর সালাত ও সালাম প্রেরণ করুন)। আর নূন্যতম বলা হলো (اللَّهُمَّ صلِّ على مُحَمَّدٍ) হে আল্লাহ মুহাম্মাদের উপর সালাত নাযিল করুন। আর উত্তম হলো সালাতে (দুরুদে) ইবরাহীমী। আর তা হলো এ কথা বলা, (للَّهُمَّ صلِّ على مُحَمَّدٍ، وعلى آل مُحَمَّدٍ، كما صَلَّيْتَ على آل إبْراهِيمَ إنّك حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بارِك على مُحَمَّدٍ وعلى آل مُحَمَّدٍ، كما بارَكْتَ على إِبْراهِيمَ، إنّك حَمِيدٌ مَجِيدٌ) এ দরুদের আরও বর্ণনা রয়েছে। হাদীসে বর্ণিত (اللَّهمَّ صَلِّ عليه) এর অর্থ: হে আল্লাহ আপনি উর্ধ্বজগতে আপনার সম্মানিত মালায়েকাদের মাঝে তাঁর প্রশংসা করুন।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

হে আল্লাহ, আপনি কবুল করুন - آمِينْ

আমীন (آمِينْ) শব্দটি দোয়ার শব্দসমূহের একটি শব্দ যেটি দোয়ার পর বলা হয়ে থাকে। চাই তা সালাতের ভিতরে হোক বা বাহিরে। কারণ, মুমিন আল্লাহর কাছে চায় যে, তিনি যেন তার দোআ কবুল করেন।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

যিকির - ذِكْرٌ

যিকির অন্তর ও জবানের ইবাদত। এটি সবচেয়ে সহজ আমল ও ইবাদত। এটি বান্দা তার রবের প্রশংসা করাকে শামিল করে। চাই তা তার সত্ত্বা বা সিফাত বা কর্মসমূহ বা বিধানসমূহ সম্পর্কে সংবাদ দেয়ার মাধ্যমে হোক বা তার কিতাব তিলাওয়াতের মাধ্যমে বা তার কাছে চাওয়া ও দোয়ার মাধ্যমে হোক। অথবা তার পবিত্রতা, মহত্ব, তাওহীদ, প্রসংশা, শুকরিয়া এবং তাজীম বর্ণনা করে হোক। অথবা চাই তা তার রাসূলের ওপর দুরূদ পেশ করা দ্বারা হোক। এ গুলো সবই আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে এবং তার কাছে সাওয়াবের আশায় হতে হবে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

ফরয সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নত সালাতসমূহ / সুনানু রাতিবাহ - السُّنَنُ الرَّواتِبُ

সুনানে রাওয়াতেব: ফরয সালাতের আগে এবং তার পরের মাসনুন সালাতসমূহ যেগুলো তার পূর্বে ও পরে আদায় করা হয়। নবী সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সাথে এগুলো গুরুত্বের সাথে আদায় করতেন। আর তার সংখ্যা হলো: বারো রাকআত: যুহরের পূর্বে চার রাকাত ও পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পরে দুই রাকাত, ইশার পর দুই রাকাত, এবং ফজরের সালাতের পূর্বে দুই রাকাত।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

ইস্তেগফার (ক্ষমা চাওয়া।) - اسْتِغْفارٌ

ইস্তেগফার একটি মহান ইবাদত; চাই তা গুনাহের সাথে হোক বা গুনাহ ছাড়া।এটি কখনো এককভাবে ব্যবহার হয়, তখন তা তাওবার সমর্থক হয়। আর তা হচ্ছে, অন্তর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্ধারা গুনাহ থেকে বিরত থাকা। আবার কখনো তাওবার সাথে মিলিয়ে ব্যবহৃত হয়, তখন ইস্তেগফারের অর্থ হলো, যা অতীত হয়েছে তার অনিষ্ঠতা থেকে হেফাযত কামনা করা। তাওবাহ হলো, ফিরে আসা এবং একজন ব্যক্তি তার কুকর্মের মন্দ পরিণতি থেকে ভবিষ্যতে হেফাযত কামনা করা। ইস্তেগফার শব্দটি বিভিন্ন বাক্যে ব্যবহার হয়েছে। যেমন কেউ বলল, (رَبِّ اغْفِرْ لِي) হে রব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। আবার কেউ বলল, (أَسْتَغْفِرُ اللهَ) আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই ইত্যাদি বাক্য।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

কিবলা - قِبْلَةٌ

আল-কিবলা: এটি হচ্ছে মুসল্লির তার সালাতের সময়কার সম্মুখ দিক। মুসলিমদের নিকট কিবল হলো কাবা শরীফ। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের পূর্বে সেটি ছিল ফিলিস্তিনে অবস্থিত বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদ। যেটিকে দুই কিবলার প্রথম কিবলা বলা হয়ে থাকে। কিবলা কখনো হুবহু কাবা হয়, আর এটি হলো যারা কাছে আছেন এবং কিবলাকে দেখছেন তাদের জন্য। অথবা কিবলা হয় দিক, এটি হচ্ছে দূরবর্তীদের জন্য।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সালাত - صَلاةٌ

আস-সালাত: অর্থাৎ পরিচিত ইবাদত দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। আর তা হলো জানা-শোনা কতক কর্ম যেমন দাঁড়ানো, বসা, রুকু ও সেজদা এবং বিশেষ কিছু কতক কথন যেমন কিরাত, যিকির ইত্যাদি। তাকবীরে তাহরীমাহ দিয়ে শুরু করা হয় এবং সালাম দিয়ে শেষ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে ও বিশেষ কতক শর্ত সাপেক্ষে আদায় করা হয়, যেমন পবিত্রতা, কিবলা মুখী হওয়া প্রভৃতি। সংক্ষেপে সালাতের নিয়ম হলো, প্রথমে দু্ই হাত কাঁধ বরাবর বা কান বরাবর তুলে আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরীমাহ বলবে। তারপর ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখবে বুকের উপর বা বুকের নিচে। তারপর সানা পড়বে এবং সূরা ফাতেহা পড়বে। তারপর কুরআনের যেখান থেকে পড়া সহজ হয় সেখান থেকে কিরাত পড়বে। তারপর দুই হাত তুলে তাকবীর বলে রুকু করবে। রুকুতে সে তার দুই হাতকে দুই হাঁটুর উপর রাখবে। ভালোভাবে রুকু করবে এবং রকুতে গিয়ে (سبحانَ ربِّي العظيم) বার বার বলবে। পারলে হাদীসে বর্ণিত দোয়াগুলো পড়বে। আর মাথা তুলে সোজা হয়ে ভালোভাবে দাঁড়াবে এবং ইমাম ও একা সালাত আদায়কারী (سمِعَ الله لمنْ حَمِده) বলবে। আর সবাই বলবে, (ربَّنا ولك الحمدُ)। আর হাদীসে বর্ণিত দুআগুলো পারবে। তারপর তাকবীর বলে সেজদায় যাবে। সাতটি অঙ্গের উপর সেজদা করবে। আর সেগুলো হলো, দুই পায়ের অগ্রভাগ, দুই হাটু, দুই হাতের তালু, নাকসহ কপাল। ভালোভাবে সেজদা করবে এবং সেজদায় গিয়ে বার বার (سبحانَ ربِّي الأعلى) বলবে। আর হাদীসে বর্ণিত দুআগুলো পারলে বাড়াবে। তারপর তাকবীর বলে বসবে। তার দুই হাত দুই উরুর বা হাটুর উপর রাখবে এবং স্থীরতার সাথে বসবে আর বলবে, (رَبِّي اغفرْ لي رَبِّي اغفرْ لي) তারপর আবার সেজদা করবে। তারপর মাথা উঠিয়ে দাড়াবে এবং সুূরা ফাতিহা ও তার সাথে অপর একটি সূরা পড়বে এবং প্রথম রাকাতে যা যা করেছিল তাই করবে। যদি সালাত দুই রাকাত বিশিষ্ট হয়, তবে তখন দ্বিতীয় বৈঠকের পর দুই সেজদার মাঝের বৈঠকের মতো করে বসবে। আর তাশাহুদ পড়বে (التَّحيِّاتُ لله والصَّلواتُ والطَّيِّباتُ، السَّلامُ عليكَ أيَّها النَّبيُّ ورحمةُ الله وبركاتُه، السَّلامُ عَلَينا وعَلَى عبادِ الله الصَّالحينَ، أشهدُ أن لا إله إلا الله وأشهدُ أنَّ محمَّدًا عبدُه ورسولُه) (সমস্ত মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর প্রত্যেক নেক বান্দাদের প্রতি। আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো (সত্য) মাবুদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।” তারপর দরূদে ইব্রাহীম পড়বে (اللَّهمَّ صلِّ على محمَّدٍ وعلى آلِ محمَّدٍ، كما صلَّيتَ على إِبراهيمَ وعلى آل إبراهيمَ، إنَّكَ حميدٌ مجيدٌ، اللَّهمَّ بارك على محمَّدٍ وعلى آل محمَّدٍ، كما باركتَ على إبراهيمَ وعلى آل إبراهيمَ، إنَّك حميدٌ مجيدٌ) “হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের ওপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপ আপনি ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এবং তাঁর পরিবারের ওপর রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি অতিপ্রশংসিত, অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের ওপর তেমনি বরকত দান করুন যেমনি আপনি বরকত দান করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এবং ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারের উপর। নিশ্চয়ই আপনি অতিপ্রশংসিত, অতি মর্যাদার অধিকারী।” তারপর (السَّلام عليكم ورحمة الله) বলে ডান দিকে সালাম ফিরাবে এবং একই নিয়মে বাম দিকে ফিরাবে। তবে যদি সালাত দুই রাকাতের অধিক হয়, তখন সে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাবে। তখন সে সূরা ফাতিহার পর সূরা মিলানো ছাড়া দ্বিতীয় রাকাতে যা করেছিল তাই করবে। আর চতুর্থ রাকআতেও এমনই করবে যেমনটি প্রথম রাকআতে করেছিল।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

প্রশংসা করা। - تَحْمِيدٌ

রুকু থেকে ওঠার পর সোজা হয়ে দাড়ানোর সময় একজন মুসল্লির বলা যে, ربَّنا ولَكَ الحَمْدُ।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সালাতের ওয়াক্তসমূহ - أَوْقاتُ الصَّلاةِ

সালাতের ওয়াক্তসমূহ: অর্থাৎ সেসব ওয়াক্ত যেগুলোকে শরীআত সালাত আদায়ের জন্য নিধারণ করেছেন। এটি তিন প্রকার: ১- ওয়াজিব ওয়াক্ত, যেমন ফরয সালাতসমূহের ওয়াক্ত। আর তা হলো পাচটি ওয়াক্ত: প্রথম: ফজরের ওয়াক্ত। এটি ফজরে সাদেকের উদয় থেকে শুরু করে সূর্য ওঠা পর্যন্ত। দ্বিতীয়: যুহরের ওয়াক্ত: সূর্য হেলে পড়া থেকে শুরু হয়ে প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। তৃতীয়: আসরের ওয়াক্ত: প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া থেকে শুরু করে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। চতুর্থ মাগরিবের ওয়াক্ত। এটি সুর্য অস্ত যাওয়া থেকে শুরু হয়ে লালিমা অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত। পাঁচ: এশার ওয়াক্ত। লালিমা গায়েব হওয়া থেকে অর্ধ রাত পর্যন্ত। এটি প্রয়োজনের সময় (লালিমা অস্ত যাওয়া থেকে) সুবহে সাদেক উদয় হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। ২-মুস্তাহাব সময়সমূহ: যেমন সুন্নাত সালাতসমূহের ওয়াক্ত। এগুলো অনেক আছে। কিছু সালাত আছে যেগুলোর সময় শরীয়াতে নির্ধারিত। যেমন বিতরের সালাত। এর সময় হলো এশার সালাতের পর থেকে ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত। আর কিছু আছে যে গুলোর নির্ধরিত কোনো সময় নাই। যেমন সকল নফল সালাতসমূহ। ৩- সাধারণ নফল সালাত আদায়ে নিষেধাজ্ঞার সময়। সেটি হলো পাঁচটি। এক: সূর্য্য উদয়ের সময় থেকে উঁচা হ্ওয়ার আগ পর্যন্ত। দুই: অর্ধ দিবসে যখন সুর্য্য আকাশের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করে। তিন: সুর্য্য লাল হ্ওয়ার সময় থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। চার: ফজরের সালাতের পর ইশরাক পর্যন্ত। পাঁচ: আসরের সালাতের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

শয়তান - شَيْطانٌ

জিন আগুনের সৃষ্টি, তারা মুকাল্লাফ অর্থাৎ শরীআতের আদেশ-নিষেধ মান্য করতে আদিষ্ট। তাদের মধ্যে কেউ আছে মুমিন আবার কেউ কাফির। শয়তান তাদের থেকেই কাফের জিনের নাম। এটি (شَطن) থেকে নির্গত হওয়া বিশুদ্ধ, যার অর্থ হলো দূরীভুত হওয়া। কারণ, তার কুফর ও অবাধ্যতার কারণে সে হক থেকে দূরে সরে গেছে। আবার (شاطَ ) অর্থাৎ ধ্বংস হওয়া ও পুড়ে যাওয়া থেকে নির্গত হওয়াও বিশুদ্ধ। কারণ, শয়তান আগুনের তৈরি।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

পাঁচ ওয়াক্ত সালাত - الصَّلَواتُ الخَمْسُ المَفْرُوضَةُ

পাঁচ ওয়াক্ত সালাত: যে সব সালাত আল্লাহ তাআলা তার বান্দার ওপর দৈনিক পাঁচবার আদায় করা ফরয করেছেন। আর তা হলো, যোহর, আছর, মাগরিব, এশা ও ফজর। এগুলো ফরয হওয়া কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত। এগুলো অবশ্যই দীনের জরুরী বিষয়। অস্বীকারকারী ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে ত্যাগকারী কাফের হয়ে যাবে। এগুলো শাহাদাতাইন তথা দুই সাক্ষ্যদানের পর সবচেয়ে গুরুত্ব্যপূর্ণ ও উত্তম ফরয এবং ইসলামের পাঁচ রুকনের দ্বিতীয় রুকন। আমাদের নবী মুহাম্মাদকে যখন মিরাজে নিয়ে যাওয়া হয় তখন প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত আল্লাহ ফরয করেন। তারপর আমাদের নবীর সুপারিশের কারণে তা কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্তে আনা হয়। এখন তা আমল হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত; কিন্তু সাওয়াব লাভে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সমপরিমাণ।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সালাম - السَلامٌ

সব সম্প্রদায়েরই অভিবাদন রয়েছে যেটি তাদের নির্দশন ও বৈশিষ্ট্য স্বরূপ। এটি হয়ত তাদের দীনের বা তাদের কালচার ও পূর্বসুরীদের অনুকরণের অংশ। আর ইসলামের সম্ভাষণ হলো সালাম। এটি আল্লাহ তা‘আলা আদম আলাইহিস সালামকে শিখিয়েছেন এবং এটি তিনি চালু করেছেন। আর মুসলিমরা তা আবশ্যক করে নিয়েছে। এটি শান্তির জন্য দোয়া করার সাথে সাথে এমন একটি সম্ভাষণ যা অপরের অন্তরে প্রশান্তি ও নিরাপত্তার উদ্রেক করে। এতে রয়েছে আল্লাহর সালাম নামের প্রসার। এর বাক্য হলো, “আসসাল্লামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ” অর্থাৎ “তোমাদের ওপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তার বরকত নাযিল হোক।“ এতে কমপক্ষে ত্রিশটি নেকি রয়েছে। আর যদি কেউ “আসসাল্লামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ“ বলে, তাতে রয়েছে বিশটি নেকি। আর যদি কেউ “আসসাল্লামু আলাইকুম“ বলে তাতে রয়েছে দশটি নেকি। সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। কেউ কেউ বলেন, ওয়াজিব। তবে সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। উপরের তিনটি শব্দের যে কোনোটি দ্বারা উত্তর দেওয়া হয়। সালাম দেওয়ার শব্দের সাথে উত্তরের শব্দের মিল থাকা জরুরি নয়। যদি প্রবেশকারী বলে, “আসসাল্লামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ“ তাহলে তোমার জন্য তার উত্তরে “ওয়া আলাইকুমুস সালাম“ বলা বৈধ। কারণ, এটি সালামের জবাব। তবে পুরো বাক্য বলা উত্তম ও অধিক সুন্দর। যদি কোনো জামাত কোনো জামাতের সাথে বা ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করে, তখন তাদের থেকে একজনের সালামের উত্তর দেওয়া যথেষ্ট হবে। যেমনিভাবে মজলিসে প্রবেশ করার সময় সালামের প্রচলন রয়েছে অনুরূপভাবে মজলিশ ত্যাগ করার সময়ও সালাম দিতে হয়। সালামের অনেক বিধান ও আদাব রয়েছে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

দুই ঈদের সালাত - صَلاةُ العِيدَينِ

দুই ঈদের সালাত ইসলামের নিদর্শনসমূহ হতে একটি নির্দশন। এ সালাত হলো ঈদুল ফিতরের দিন অর্থাৎ শাওয়াল মাসের প্রথম দিন এবং ঈদুল আযহার দিন অর্থাৎ যিলহজ মাসের দশম দিন সশব্দে দুই রাকাত সালাত আদায় করা। সূর্য এক বর্শা বা দুই বর্শা পরিমাণ উপরে উঠলে দুই ঈদের সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর তা নফল সালাত বৈধ হওয়ার ওয়াক্ত। আর সূর্য মধ্য আকাশ থেকে ঢলে পড়ার পূর্বে ওয়াক্ত শেষ হয়। অর্থাৎ যোহরের ওয়াক্তের কিছু সময় পূর্বে। এ সালাত অন্যান্য সাধারণ সালাতসমূহ হতে প্রত্যেক রাকাতে অতিরিক্ত তাকবীরের কারণে স্বতন্ত্র।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

জুম‘আর সালাত - صَلاةُ الجُمُعَةِ

জুমুআর সালাত: এটি একটি স্বয়ং সম্পন্ন সালাত যেটি কিরাত উচ্চস্বরে পড়া, রাকাত সংখ্যা, খুতবা ও তার প্রদত্ত শর্তসমূহে যোহরের সালাত থেকে ভিন্ন; তবে ওয়াক্তের ক্ষেত্রে মিল আছে। মুস্তাহাব হলো প্রথম রাকাতে সূরা আল-জুমুআহ এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা আল-মুনাফিকূন পড়া অথবা প্রথম রাকাতে সূরা আল-আলা ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা আল-গাশিয়াহ পড়া।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

নফল সালাত। - صَلاةُ النَّافِلَةِ

নফল সালাত: ফরয সালাতসমূহের অতিরিক্ত সালাত। এটি নির্ধারিত ও সাধারণ দুই ভাগে ভাগ হয়: ১-নির্ধারিত নফল সালাত: যে সালাত কোনো কারণের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন, তাহিয়্যাতুল মসজিদ। অথবা কোনো সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন দুহার সালাত, সুনানে রাওয়াতিব ইত্যাদি। ২-অনির্ধারিত সাধারণ নফল সালাত: সেসব নফল সালাত যা কোনো সময় বা কারণের সাথে সম্পৃক্ত নয় এবং নিষিদ্ধ সময়ের বাহিরে যে কোনো সময় আদায় করা যায়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

রুকু - ركوع

রুকু হলো, সালাতের কর্ম জাতীয় রুকন। তার রয়েছে দুটি গুণ: 1- পিঠ ঝুকানো। যাতে একজন মানুষ তার দুই হাত দ্বারা দুই হাঁটু ধরতে পারে। 2- দুই হাতকে দুই হাঁটুর ওপর টেক লাগানোর সাথে মাথা ঝুকানো, দুই হাতের আঙ্গুলগুলো খোলা রাখা, দুই হাতকে দুই পার্শ্ব থেকে দূরে রাখা এবং মাথা উঁচু বা নিচু করা ছাড়া পিঠকে বরাবর রাখা। আর এ পদ্ধতিটিই হলো, পরিপূর্ণ পদ্ধতি। আর রুকুর দুই অবস্থা: 1- রুকুর পূর্বে মুসল্লির দাঁড়ানো অবস্থায় থাকা। আর সাধারণভাবে রুকু দ্বারা এটিই উদ্দেশ্য হয়। 2- আর বসা অবস্থা থেকে রুকু করা। আর তা হলো পিঠ এমনভাবে নীচু করা যাতে কপাল দুই হাঁটু বরাবর এসে যায়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সতর ঢাকা - سَتْرُ العَوْرَةِ

লজ্জাস্থান ঢাকা (سَتْرُ العَوْرَةِ): মানুষের যে সব অঙ্গ খোলা রাখা দোষণীয় এবং যা খোলা রাখতে মানুষ লজ্জাবোধ করে এবং মানুষের দেহের যা প্রকাশ করা বৈধ নয়, সামর্থ্যের সময় তা ঢেকে রাখা, যদিও সে অন্ধকারে একা হয়। সতর ঢাকা দুই প্রকার: ১- সালাতের মধ্যে সতর ঢাকা। আর তা পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আর নারীদের জন্য চেহারা ও দুই কব্জি ছাড়া পুরো শরীর ঢেকে রাখা। এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হলো, কাপড় শরীরকে এমনভাবে ঢেকে রাখবে যাতে স্বাভাবিক দৃষ্টি দ্বারা তার গায়ের রং দেখা না যায়। ২- সালাতের বাহিরে সতর ঢাকা। আর তা পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আর নারীদের চার অবস্থা: 1- অপরিচিত লোকদের নিকট সারা শরীর ঢাকা। 2- পুরো শরীর ঢেকে রাখা। তবে ঘরের ভিতরে কাজ করার সময় সাধারণত যা খোলা থাকে তা ছাড়া। যেমন, মাথা, গর্দান, হাত ইত্যাদি। আর এ অবস্থা হবে মাহারিম ও নারীদের সামনে। 3- কোনো সতর না ঢাকা। আর এটি হলো তার স্বামীর সাথে। ৪- তার মত নারীর নিকট নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সাহু সাজদা - سُجُودُ السَّهْوِ

সাহু সাজদা হলো, সালাতের সিজদার ন্যায় একই নিয়মে ও যিকরে দুই সিজদা করা। একাকী সালাত আদায়কারীর অথবা ইমামের মধ্যে যখন সাহু সাজদার কারণসমূহের কোন একটি কারণ পাওয়া যায় তখন এটি আবশ্যক হয়। আর তার স্থান হলো, সালামের পূর্বে যদি কমের মাধ্যমে ভুল করে। আর যদি বেশীর মাধ্যমে ভুল করে তাহলে তার স্থান হল সালামের পর। আর সেজদা সাহুর কারণ তিনটি। আর তা হলো, বৃদ্ধি, হ্রাস ও সন্দেহ।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সালাতে স্থীরতা - الطُّمَأْنِينَةٌ في الصلاة

স্থীরতা হচ্ছে, কিছু সময়ের জন্য জোড়া ও অঙ্গসমূহের স্বীয় স্থানে স্থির হওয়া। তার সর্ব নিম্ন হলো, এত সময় পরিমাণ স্থির থাকা যাকে পরিভাষায় স্থিরতা বলে। কেউ কেউ বলেন, সামান্য সময় অঙ্গসমূহের চলাচল না থাকা। আবার কেউ কেউ বলেন, রুকনের মধ্যে ওয়াজিব যিকির আদায়ের সময় পর্যন্ত। যেমন, একবার তাসবীহ বলা পরিমাণ সময়। এ দুই কথার মধ্যে উল্লেখিত বিষয়টি সালাতে ভুলকারীর কর্ম থেকে আলাদা করা যাবে না। অথচ তাকে পুনরায় সালাত আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সতর - عَوْرَةٌ

সতর এমন একটি বিষয় যা হিফাযত করার প্রতি শরীয়ত প্রণেতা খুব গুরুত্ব দিয়েছেন এবং এটি একটি মৌলিক নীতির অর্ন্তভুক্ত হয়। আর তা হলো ইয্যতের হিফাযত করা। সতর দুই প্রকার: প্রথম: সালাতের ভিতরে সতর। একে সালাতের আওরোত (عَوْرَةَ الصَّلاةِ) বলে। আর তা হলো যা সালাতে ঢেকে রাখা ওয়াজিব। দ্বিতীয়: সালাতের বাহিরে সতর। এটিকে নজরের আওরাত (عَوْرَةَ النَّظَرِ) বলে। আর তা হলো, সালাতের বাহিরে শরীরের যে সব অংশ প্রকাশ না করা এবং ঢেকে রাখা ওয়াজিব।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

মাসজিদ - مَسْجِدٌ

মসজিদ হলো এমন স্থান যেটিকে স্থায়ীভাবে সালাত আদায়, যিকির, দোআ, দীনি জ্ঞান অর্জন, উম্মাতের অবস্থা পর্যবেক্ষণ ইত্যাদির জন্য ওয়াকফ আকারে খাস করা হয়েছে। তাতে আযান দিবে ও কিবলামুখী হবে। সালাতের কর্মসমূহের মধ্যে সিজদা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হওয়ায় স্থানের নামটি তা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ, বান্দা সিজদাবস্থায় তার রবের সর্বাধিক কাছে থাকে। তাই তাকে মসজিদ বলা হয়। মসজিদের সীমানা হলো, যে দেয়াল বা কাঠ বা বাশ ইত্যাদি তাকে বেষ্টন করে রাখে। মসজিদ হলো জমিনের সবোর্ত্তম অংশ। তার রয়েছে বিশেষ মর্যদা ও ফযীলত আল্লাহর নিকট। আর কতক মসজিদ আছে যেগুলোকে আল্লাহ তাআলা বিশেষ ফযীলত ও গুণ দ্বারা বিশেষায়িত করেছেন যা অন্য কোন মসজিদের নেই। আর সে গুলো হলো, তিনটি মসজিদ। মক্কায় মসজিদে হারাম, মদীনায় মসজিদে নববী এবং কুদসে মসজিদে আকসা।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সালাত ছেড়ে দেয়া। - تَرْكُ الصَّلاةِ

দুটি সাক্ষ্যদানের পর সালাত হলো দীনের খুটি ও ইসলামের মহান রুকনসমূহের অন্যতম। যে ব্যক্তি তা সংরক্ষণ করল সেই সৌভাগ্যবান। আর যে ব্যক্তি তা বরবাদ করল বা তা ছেড়ে দিল সে দূর্ভাগা ও অহংকারী। আল্লাহ তা সংরক্ষণ করার প্রতি ও প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনেক আয়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ত্যাগকারী আল্লাহর শাস্তি ও অসন্তুষ্টির মুখোমুখি হতে হবে। আর তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্চিত হতে হবে। ইচ্ছাকৃত সালাত ত্যাগকারী দুই প্রকার। 1- সালাত ফরয হওয়াকে অস্বীকার করে সালাত ত্যাগ করা। এটি অবশ্যই কুফর। 2- সালাতকে অলসতা ও হালকাভাবে দেখে তা ত্যাগ করা যে, তার পরবর্তী সময়ের প্রবেশ করা। এটিও সুস্পষ্ট দলীল পাওয়া যাওয়ার কারণে কুফর। এই মত হলো উমার, আলী, জাবের সহ আরও অন্যান্য সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুমগণের। যেমনটি তাদের থেকে সহীহ সনদসমূহে বর্ণিত হয়েছে। একজন সাহাবীকেও পাওয়া যাবে না যে সে এ মতের বিরোধিতা করেছে। এর ওপর সাহাবীগণের ইজমার কথা একাধিক আলেম বর্ণনা করেছেন। দ্বিতীয় মত হলো এটি কবীরাহ গুনাহ ও মস্ত বড় পাপ। তার ত্যাগকারীকে হত্যা করা হবে। তবে তাকে কাফির সাব্যস্ত করা যাবেনা। এটি শাফেয়ী ও মালেকীদের মাযহা্ব। তৃতীয় মত হলো, এটি কবীরাহ গুনাহ ও মহাপাপ। তাকে আমরণ বা তাওবা করা পর্যন্ত বন্দী করে রাখা হবে। তবে তাকে কাফের সাব্যস্ত করা হবে না। এটি হানাফীদের মাযহাব। আর যে ব্যক্তি কোনো অপারগতার কারণে সালাত ছেড়ে দেয়, যেমন ঘুম, ভুলে যাওয়া ইত্যাদি সে অবশ্যই অপারগ। তাকে অবশ্যই যখন স্মরণ হয় কাযা করতে হবে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই