ইসলাম মুসলিমদের ঐক্য ও ইবাদাতের ক্ষেত্রে পরস্পরের সহযোগীতার ওপর গুরুত্বারোপ করে থাকে। এ কারণে আল্লাহ আমাদের জন্য জামাআতবদ্ধ কিছু ইবাদতের প্রচলন করেছেন যা মানুষ একা একা আদায় করতে পারে না। যেমন, নসিহত, ভালো কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করা, হজ করা। অনুরূপভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাআতের সাথে আদায় করা। আর এতে রয়েছে অনেক উপকার। অপরাগতা না থাকলে তা যে ওয়াজিব সে বিষয়ে অনেক প্রমাণ রয়েছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত পড়া একটি মহান ইবাদত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তার সম্মান ও মর্যাদা। সালাতের শব্দাবলীর অন্যতম হলো صلّى اللهُ عليه وسلّم বলা (আল্লাহ তার ওপর সালাত ও সালাম প্রেরণ করুন)। আর নূন্যতম বলা হলো (اللَّهُمَّ صلِّ على مُحَمَّدٍ) হে আল্লাহ মুহাম্মাদের উপর সালাত নাযিল করুন। আর উত্তম হলো সালাতে (দুরুদে) ইবরাহীমী। আর তা হলো এ কথা বলা, (للَّهُمَّ صلِّ على مُحَمَّدٍ، وعلى آل مُحَمَّدٍ، كما صَلَّيْتَ على آل إبْراهِيمَ إنّك حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بارِك على مُحَمَّدٍ وعلى آل مُحَمَّدٍ، كما بارَكْتَ على إِبْراهِيمَ، إنّك حَمِيدٌ مَجِيدٌ) এ দরুদের আরও বর্ণনা রয়েছে। হাদীসে বর্ণিত (اللَّهمَّ صَلِّ عليه) এর অর্থ: হে আল্লাহ আপনি উর্ধ্বজগতে আপনার সম্মানিত মালায়েকাদের মাঝে তাঁর প্রশংসা করুন।
জুমুআর সালাত: এটি একটি স্বয়ং সম্পন্ন সালাত যেটি কিরাত উচ্চস্বরে পড়া, রাকাত সংখ্যা, খুতবা ও তার প্রদত্ত শর্তসমূহে যোহরের সালাত থেকে ভিন্ন; তবে ওয়াক্তের ক্ষেত্রে মিল আছে। মুস্তাহাব হলো প্রথম রাকাতে সূরা আল-জুমুআহ এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা আল-মুনাফিকূন পড়া অথবা প্রথম রাকাতে সূরা আল-আলা ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা আল-গাশিয়াহ পড়া।