বিতরের সালাত: এটি এমন সালাত যা এশার সালাত এবং ফজর উদয়ের মাঝখানে আদায় করা হয়। আর এ দ্বারা রাতের সালাত শেষ করা হয়। এটির সর্বনিম্ন রাকআত হলো এক রাকাআত। আর অধিক রাকাতের কোন সীমানা নাই। তবে মুস্তাহাব হলো এগারো রাকাত। বিতরকে বিতর নামে নামকরণ করার কারণ হলো, এর রাকাত সংখ্যা বিজোড়। হয় এটি এক রাকাত বা তিন রাকাআত বা পাঁচ রাকাত ইত্যাদি।
ইসলাম মুসলিমদের ঐক্য ও ইবাদাতের ক্ষেত্রে পরস্পরের সহযোগীতার ওপর গুরুত্বারোপ করে থাকে। এ কারণে আল্লাহ আমাদের জন্য জামাআতবদ্ধ কিছু ইবাদতের প্রচলন করেছেন যা মানুষ একা একা আদায় করতে পারে না। যেমন, নসিহত, ভালো কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করা, হজ করা। অনুরূপভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাআতের সাথে আদায় করা। আর এতে রয়েছে অনেক উপকার। অপরাগতা না থাকলে তা যে ওয়াজিব সে বিষয়ে অনেক প্রমাণ রয়েছে।
স্থীরতা হচ্ছে, কিছু সময়ের জন্য জোড়া ও অঙ্গসমূহের স্বীয় স্থানে স্থির হওয়া। তার সর্ব নিম্ন হলো, এত সময় পরিমাণ স্থির থাকা যাকে পরিভাষায় স্থিরতা বলে। কেউ কেউ বলেন, সামান্য সময় অঙ্গসমূহের চলাচল না থাকা। আবার কেউ কেউ বলেন, রুকনের মধ্যে ওয়াজিব যিকির আদায়ের সময় পর্যন্ত। যেমন, একবার তাসবীহ বলা পরিমাণ সময়। এ দুই কথার মধ্যে উল্লেখিত বিষয়টি সালাতে ভুলকারীর কর্ম থেকে আলাদা করা যাবে না। অথচ তাকে পুনরায় সালাত আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মসজিদ হলো এমন স্থান যেটিকে স্থায়ীভাবে সালাত আদায়, যিকির, দোআ, দীনি জ্ঞান অর্জন, উম্মাতের অবস্থা পর্যবেক্ষণ ইত্যাদির জন্য ওয়াকফ আকারে খাস করা হয়েছে। তাতে আযান দিবে ও কিবলামুখী হবে। সালাতের কর্মসমূহের মধ্যে সিজদা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হওয়ায় স্থানের নামটি তা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ, বান্দা সিজদাবস্থায় তার রবের সর্বাধিক কাছে থাকে। তাই তাকে মসজিদ বলা হয়। মসজিদের সীমানা হলো, যে দেয়াল বা কাঠ বা বাশ ইত্যাদি তাকে বেষ্টন করে রাখে। মসজিদ হলো জমিনের সবোর্ত্তম অংশ। তার রয়েছে বিশেষ মর্যদা ও ফযীলত আল্লাহর নিকট। আর কতক মসজিদ আছে যেগুলোকে আল্লাহ তাআলা বিশেষ ফযীলত ও গুণ দ্বারা বিশেষায়িত করেছেন যা অন্য কোন মসজিদের নেই। আর সে গুলো হলো, তিনটি মসজিদ। মক্কায় মসজিদে হারাম, মদীনায় মসজিদে নববী এবং কুদসে মসজিদে আকসা।