নফল হলো, ফরয ও ওয়াজিবের অতিরিক্ত যে সব ইবাদত আল্লাহ বিধিবদ্ধ করেছেন। তন্মধ্যে রয়েছে নফল সালাত। আর তা হলো, ফরয সালাতের অতিরিক্ত নফল ও সুন্নাত (রাতেবাহ) সালাতসমূহ। যেমন, কিয়ামুল লাইল, দুহার সালাত এবং সাধারণ নফল ও এ জাতীয় অন্যান্য সালাত।
বিতরের সালাত: এটি এমন সালাত যা এশার সালাত এবং ফজর উদয়ের মাঝখানে আদায় করা হয়। আর এ দ্বারা রাতের সালাত শেষ করা হয়। এটির সর্বনিম্ন রাকআত হলো এক রাকাআত। আর অধিক রাকাতের কোন সীমানা নাই। তবে মুস্তাহাব হলো এগারো রাকাত। বিতরকে বিতর নামে নামকরণ করার কারণ হলো, এর রাকাত সংখ্যা বিজোড়। হয় এটি এক রাকাত বা তিন রাকাআত বা পাঁচ রাকাত ইত্যাদি।
সুনানে রাওয়াতেব: ফরয সালাতের আগে এবং তার পরের মাসনুন সালাতসমূহ যেগুলো তার পূর্বে ও পরে আদায় করা হয়। নবী সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সাথে এগুলো গুরুত্বের সাথে আদায় করতেন। আর তার সংখ্যা হলো: বারো রাকআত: যুহরের পূর্বে চার রাকাত ও পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পরে দুই রাকাত, ইশার পর দুই রাকাত, এবং ফজরের সালাতের পূর্বে দুই রাকাত।
দুই ঈদের সালাত ইসলামের নিদর্শনসমূহ হতে একটি নির্দশন। এ সালাত হলো ঈদুল ফিতরের দিন অর্থাৎ শাওয়াল মাসের প্রথম দিন এবং ঈদুল আযহার দিন অর্থাৎ যিলহজ মাসের দশম দিন সশব্দে দুই রাকাত সালাত আদায় করা। সূর্য এক বর্শা বা দুই বর্শা পরিমাণ উপরে উঠলে দুই ঈদের সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর তা নফল সালাত বৈধ হওয়ার ওয়াক্ত। আর সূর্য মধ্য আকাশ থেকে ঢলে পড়ার পূর্বে ওয়াক্ত শেষ হয়। অর্থাৎ যোহরের ওয়াক্তের কিছু সময় পূর্বে। এ সালাত অন্যান্য সাধারণ সালাতসমূহ হতে প্রত্যেক রাকাতে অতিরিক্ত তাকবীরের কারণে স্বতন্ত্র।
নফল সালাত: ফরয সালাতসমূহের অতিরিক্ত সালাত। এটি নির্ধারিত ও সাধারণ দুই ভাগে ভাগ হয়: ১-নির্ধারিত নফল সালাত: যে সালাত কোনো কারণের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন, তাহিয়্যাতুল মসজিদ। অথবা কোনো সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন দুহার সালাত, সুনানে রাওয়াতিব ইত্যাদি। ২-অনির্ধারিত সাধারণ নফল সালাত: সেসব নফল সালাত যা কোনো সময় বা কারণের সাথে সম্পৃক্ত নয় এবং নিষিদ্ধ সময়ের বাহিরে যে কোনো সময় আদায় করা যায়।