সালাতের ওয়াক্তসমূহ - أَوْقاتُ الصَّلاةِ

সালাতের ওয়াক্তসমূহ: অর্থাৎ সেসব ওয়াক্ত যেগুলোকে শরীআত সালাত আদায়ের জন্য নিধারণ করেছেন। এটি তিন প্রকার: ১- ওয়াজিব ওয়াক্ত, যেমন ফরয সালাতসমূহের ওয়াক্ত। আর তা হলো পাচটি ওয়াক্ত: প্রথম: ফজরের ওয়াক্ত। এটি ফজরে সাদেকের উদয় থেকে শুরু করে সূর্য ওঠা পর্যন্ত। দ্বিতীয়: যুহরের ওয়াক্ত: সূর্য হেলে পড়া থেকে শুরু হয়ে প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। তৃতীয়: আসরের ওয়াক্ত: প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া থেকে শুরু করে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। চতুর্থ মাগরিবের ওয়াক্ত। এটি সুর্য অস্ত যাওয়া থেকে শুরু হয়ে লালিমা অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত। পাঁচ: এশার ওয়াক্ত। লালিমা গায়েব হওয়া থেকে অর্ধ রাত পর্যন্ত। এটি প্রয়োজনের সময় (লালিমা অস্ত যাওয়া থেকে) সুবহে সাদেক উদয় হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। ২-মুস্তাহাব সময়সমূহ: যেমন সুন্নাত সালাতসমূহের ওয়াক্ত। এগুলো অনেক আছে। কিছু সালাত আছে যেগুলোর সময় শরীয়াতে নির্ধারিত। যেমন বিতরের সালাত। এর সময় হলো এশার সালাতের পর থেকে ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত। আর কিছু আছে যে গুলোর নির্ধরিত কোনো সময় নাই। যেমন সকল নফল সালাতসমূহ। ৩- সাধারণ নফল সালাত আদায়ে নিষেধাজ্ঞার সময়। সেটি হলো পাঁচটি। এক: সূর্য্য উদয়ের সময় থেকে উঁচা হ্ওয়ার আগ পর্যন্ত। দুই: অর্ধ দিবসে যখন সুর্য্য আকাশের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করে। তিন: সুর্য্য লাল হ্ওয়ার সময় থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। চার: ফজরের সালাতের পর ইশরাক পর্যন্ত। পাঁচ: আসরের সালাতের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

কিবলা - قِبْلَةٌ

আল-কিবলা: এটি হচ্ছে মুসল্লির তার সালাতের সময়কার সম্মুখ দিক। মুসলিমদের নিকট কিবল হলো কাবা শরীফ। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের পূর্বে সেটি ছিল ফিলিস্তিনে অবস্থিত বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদ। যেটিকে দুই কিবলার প্রথম কিবলা বলা হয়ে থাকে। কিবলা কখনো হুবহু কাবা হয়, আর এটি হলো যারা কাছে আছেন এবং কিবলাকে দেখছেন তাদের জন্য। অথবা কিবলা হয় দিক, এটি হচ্ছে দূরবর্তীদের জন্য।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সতর ঢাকা - سَتْرُ العَوْرَةِ

লজ্জাস্থান ঢাকা (سَتْرُ العَوْرَةِ): মানুষের যে সব অঙ্গ খোলা রাখা দোষণীয় এবং যা খোলা রাখতে মানুষ লজ্জাবোধ করে এবং মানুষের দেহের যা প্রকাশ করা বৈধ নয়, সামর্থ্যের সময় তা ঢেকে রাখা, যদিও সে অন্ধকারে একা হয়। সতর ঢাকা দুই প্রকার: ১- সালাতের মধ্যে সতর ঢাকা। আর তা পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আর নারীদের জন্য চেহারা ও দুই কব্জি ছাড়া পুরো শরীর ঢেকে রাখা। এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হলো, কাপড় শরীরকে এমনভাবে ঢেকে রাখবে যাতে স্বাভাবিক দৃষ্টি দ্বারা তার গায়ের রং দেখা না যায়। ২- সালাতের বাহিরে সতর ঢাকা। আর তা পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আর নারীদের চার অবস্থা: 1- অপরিচিত লোকদের নিকট সারা শরীর ঢাকা। 2- পুরো শরীর ঢেকে রাখা। তবে ঘরের ভিতরে কাজ করার সময় সাধারণত যা খোলা থাকে তা ছাড়া। যেমন, মাথা, গর্দান, হাত ইত্যাদি। আর এ অবস্থা হবে মাহারিম ও নারীদের সামনে। 3- কোনো সতর না ঢাকা। আর এটি হলো তার স্বামীর সাথে। ৪- তার মত নারীর নিকট নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সতর - عَوْرَةٌ

সতর এমন একটি বিষয় যা হিফাযত করার প্রতি শরীয়ত প্রণেতা খুব গুরুত্ব দিয়েছেন এবং এটি একটি মৌলিক নীতির অর্ন্তভুক্ত হয়। আর তা হলো ইয্যতের হিফাযত করা। সতর দুই প্রকার: প্রথম: সালাতের ভিতরে সতর। একে সালাতের আওরোত (عَوْرَةَ الصَّلاةِ) বলে। আর তা হলো যা সালাতে ঢেকে রাখা ওয়াজিব। দ্বিতীয়: সালাতের বাহিরে সতর। এটিকে নজরের আওরাত (عَوْرَةَ النَّظَرِ) বলে। আর তা হলো, সালাতের বাহিরে শরীরের যে সব অংশ প্রকাশ না করা এবং ঢেকে রাখা ওয়াজিব।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই