ফতোয়া - فَتْوَى

শরীয়াতের বিধানসমূহ বর্ণনা দেয়ার ক্ষেত্রে ফতোয়া ইজতিহাদেরই একটি প্রকার। আর এটি হচ্ছে, কাউকে হুকুম মানতে বাধ্য করা ছাড়া নির্দিষ্ট মাস‘আলায় শরীয়াতের হুকুম সম্বন্ধে সংবাদ দেওয়া ও শরীয়াতের যেসব মাসআলা বুঝতে কঠিন হয় তার উত্তর প্রদান করা। ফতোয়া ইশারা, লিখা ও কর্মের মাধ্যমেও হয়। আর ইফতা আকিদাগত মাসআলা এবং লেনদেন, শাস্তি, বিয়ে-শাদীসহ শরীয়তের শাখা-প্রশাখাগত আমলী (ব্যবহারিক) সকল অধ্যায়কে শামলি করে। বিজ্ঞ আলেম ছাড়া আর কারো জন্য ফতোয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা বৈধ নয়। কারণ, এটি আল্লাহ দীনের বিধান সম্পর্কে সংবাদ দেওয়া। বস্তুত এটি একটি ঝুকিপূর্ণ দায়িত্ব। আল-কুরআনুল কারীমে বিনা ইলমে এতে ঘাটাঘাটি করাকে আল্লাহর সাথে শির্ক করার সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

হারাম - حَرامٌ

হারাম: আহকামে তাকলিফিয়্যাহ তথা আদেশসূচক পাঁচটি বিধানের একটি বিধান। আর তা হলো, হারাম, মাকরুহ, ওয়াজিব, মানদুব ও মুবাহ। হারাম হলো, সেসব কথা বা কাজ বা বিশ্বাস যা ছেড়ে দিতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাধ্যতামুলকভাবে সম্পূর্ণ নিষেধ করেছেন। যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ পালনের নিয়তে হারাম ছেড়ে দেয় তাহলে তাকে সাওয়াব দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি তাতে লিপ্ত হবে সে শাস্তির যোগ্য হবে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

বালিগ হওয়া - بُلُوغٌ

পাঁচটি জিনিসের যে কোনো একটি দ্বারা বালেগ হওয়া সাব্যস্ত হয়। এর তিনটিতে পুরুষ ও নারী উভয়ই অংশিদার। আর তা হলো, স্বপ্নদোষ হওয়া, পশম ওঠা এবং (নির্ধারিত) বয়স হওয়া। আর দুটি পুরুষ ছাড়া শুধু নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর তা হলো হায়েয ও গর্ভধারণ।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

শরীয়তের উদ্দেশ্যাবলী - مَقَاصِدُ الشَّرِيعَةِ

শরীআতের মাকাছেদ (مَقَاصِدُ الشَّرِيعَةِ): সেসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বলে যেগুলো শরীআত নিয়ে এসেছে এবং (হালাল-হারাম) বিধানসমূহে তা বাস্তবায়ন করেছে। আর প্রত্যেক স্থানে ও যুগে তার বাস্তবায়ন, সুন্দরভাবে তার সংরক্ষণ ও তার হিফাযতের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। আর শরীআত যেই স্বার্থ (কল্যাণ) হিফাযত করার জন্য এসেছে তার বিবেচনায় মাকাছেদে শরীআহ (শরীআতের উদ্দেশ্যবলী) তিন ভাগে ভাগ হয়: 1- জরুরি মাকাছেদ (المَقَاصِدُ الضَّرُورِيَّةُ): দীন ও দুনিয়াবী কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় যা খুবই জরুরী, যদি তা না থাকে মহা ফাসাদ দেখা দেবে। আর তা পাঁচটি মৌলিক বিষয় হিফাযত করার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। আর তা হলো, দীন, জ্ঞান, নাফস, বংশ ও সম্পদ। 2- প্রয়োজনীয় মাকাসেদ (المَقَاصِدُ الحَاجِيَّةُ): আর হলো যদি তা পাওয়া না যায়, তখন মানব জাতির ওপর কষ্ট ও বিপদ নেমে আসে। 3- সৌন্দর্যবর্ধক মাকাসেদ (المَقَاصِدُ التَّحْسِينِيَّةُ): আর তা হলো যা মানুষের অবস্থাকে সুন্দর করে এবং তার জীবনকে সুন্দরভাবে পূর্ণতা দান করে। এটিকে মাকাসেদে কামালিয়্যাহ, তাকমীলিয়্যাহ অথবা কামালিয়্যাত বলে নাম করণ করা হয়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

শরীআত - الشريعة

শরীআত: যে সব আকায়েদ, আহকাম ইত্যাদি আল্লাহ চালু করেছেন। আর তার রয়েছে সর্বসম্মত উৎস। আর তা হলো কিতাব ও সুন্নাহ এবং ইজমা ও কিয়াস। আর রয়েছে মত বিরোধী উৎস। যেমন, সাহাবীগণের কথা। আর তার রয়েছে প্রসিদ্ধ উদ্দেশ্য।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

ই’তিকাদ (বিশ্বাস) - اعْتِقاد

ই’তিকাদ হলো, যার প্রতি মানুষ বিশ্বাস স্থাপন করে এবং যাকে সে তার মাযহাব ও দীন হিসেবে গ্রহণ করে তার প্রতি এমনভাবে অকাট্য বিশ্বাস ও নিশ্চিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যে, অন্তর তাকে সত্যায়ন করে, তার প্রতি আত্মা পরিতৃপ্ত থাকে এবং তার জন্যে আত্মসমর্পণ করে। আর এই স্বীকৃতির সাথে কোনো প্রকার সন্দেহ অথবা দ্বিধার সংমিশ্রণ হয় না। এ কারণেই ঈমানকে আকীদা বলে নামকরণ করা হয়েছে। কারণ, ঈমানের ওপর মানুষ তার কালবকে এমনভাবে বেঁধে রাখে ও তার সঙ্গে তার অন্তরকে এমনভাবে সংযুক্ত রাখে যে, সেটি তার নিকট চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পরিণত হয় যা সন্দেহকে কবুল করে না। ই’তিকাদ দুই প্রকার: ১- বিশুদ্ধ ই’তিকাদ: আর তা হলো, আল্লাহ তাআলার রুবুবিয়্যাত, উলুহিয়্যাত, একত্ববাদ এবং তার সকল নাম ও সিফাতের ক্ষেত্রে তাঁর একক হওয়ার প্রতি ঈমান আনা। আরও ঈমান আনা তার মালায়েকাগণ (ফিরিশতা), কিতাবসমূহ, রাসূলগণ, আখিরাত দিবস ও ভালো-মন্দ তাকদীরের প্রতি এবং যাবতীয় গাইবি বিষয়, দীনের মৌলিক বিষয এবং যার ওপর সালাফে সালেহীণগণ একমত হয়েছেন তার প্রতি। ২- বাতিল ই’তিকাদ: আর তা হলো, সব বিকৃত দীনের আকীদাহ। যেমন, খৃষ্টানদের আকীদা হলো আল্লাহ তিনের তৃতীয় বা ত্রিত্ববাদ। ইয়াহুদীদের আকীদাহ হলো, উযাইর আল্লাহর পুত্র। অনুরূপভাবে বিভিন্ন গোমরাহ ফিরকার আকীদা যেমন, খারেজী, আশায়েরাহ, সূফিয়্যাহ ও অন্যান্যরা।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

তাহরীম - تَحْرِيمٌ

তাহরীম নির্দিষ্ট পাঁচটি তাকলীফিয়্যাহ বিধানের একটি বিধান। আর তা হলো, আল্লাহ ও তার রাঁসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব জিনিস বাধ্যতামূলকভাবে ছেড়ে দেয়ার জন্য কঠিন নিষেধ করেছেন। আর হারাম পরিত্যাগকারী যদি আল্লাহর আদেশ মান্য করার নিয়তে ছেড়ে দেয়, তবে তাকে সাওয়াব দেওয়া হবে। আর তার ওপর আমলকারীকে শাস্তি দেয়া হবে। আর তার নাম রাখা হবে ফাসেক বলে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

আস-সুন্নাহ - سنة

সুন্নাহ হলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন পদ্ধতি যার ওপর তিনি এবং তার সাহাবায়ে কিরামগণ ছিলেন, যাতে কোন প্রকার সন্দেহ সংশয় নেই। সুন্নাহ শব্দটি ইবাদত ও বিশ্বাস সবকিছুতে সুন্নাহকে শামিল করে। যদিও যারা সুন্নাহ সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করেছেন তারা আকিদার ক্ষেত্রে আলোচনাকে উদ্দেশ্য করেছেন। কারণ, এটি হলো দীনের আসল-মূল। আর এর বিরোধিতাকারী মহা বিপদে আছে। এ কারণেই সুন্নাহ শব্দটি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকীদা বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। সালাফ ও খালাফ রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের থেকে বড় বড় ইমামদের জবানে এর ব্যবহার ব্যাপক। ফলে বলা হয়ে থাকে (فلان من أهل السنة) অমুক আহলে সুন্নাহ থেকে। এর অর্থ হলো, সে সহীহ প্রশংসিত সরল তরীকার লোক। আর সুন্নাহ হলো সেই তারীকা যার ওপর পরিচালিত হয়। তখন এটি কথা কর্ম ও বিশ্বাসসমূহে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর খুলাফায়ে রাশেদীনগণ যার ওপর ছিলেন তাকে মুজবুত করে আঁকড়ে ধরাকে শামিল করে। আর এটি হলো পরিপূর্ণ ব্যাপক সুন্নাহ। এটিই হলো দীন যার থেকে কোন মূর্খ হতভাগা ও গোমরাহ ছাড়া কেউ বিমুখ হয় না।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

গোমরাহী - ضلال

আদ-দালাল (الضلال) গোমরাহী অর্থ হলো, সঠিক পথের ওপর অবিচল না থাকা। চাই তা কথার মধ্যে হোক বা কর্মের মধ্যে হোক বা বিশ্বাসের মধ্যে হোক। দালাল (الضلال) - গোমরাহী দুই প্রকার: 1- ইলম ও বিশ্বাসে গোমরাহী। যেমন কাফের. মুর্তি পুজারী ও আল্লাহর সিফাতকে অস্বীকারকারীদের গোমরাহ হওয়া । 2-আমল ও আহকামের ক্ষেত্রে গোমরাহ হওয়া। যেমন, গোনাহগারদের গোমরাহ হওয়া। আর গোমরাহ হওয়ার কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে কুরআন ও সুন্নাহকে ছেড়ে দেয়া। যুক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া, বিদআত করা, প্রবৃত্তির অনুসরণ করা, অজ্ঞতা ও সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

আনুগত্য করা - طاعَةٌ

আনুগত্যতা হলো দীনের ভিত্তি এবং ইবাদাতের রুকন। আর তা হলো বাস্তবায়ন করার নিয়তে মানুষকে যা আদেশ করা হয়েছে তা পালন করা এবং যা থেকে তাকে না করা হয়েছে তা ছেড়ে দেয়া। আদিষ্ট বা নিষেধকৃত বিষয়টি কথা বা আমল বা বিশ্বাস যাই হোক। এটি দুই প্রকার: এক- স্রষ্টার আনুগত্য করা, আর সেটি হলো আল্লাহ ও তার রাসূল যা আদেশ করেছেন তা পালন করা এবং তারা যা নিষেধ করেছেন তা ছেড়ে দেয়া। দুই- মাখলুকের আনুগত্য করা। এটি আবার দুই প্রকার: 1- প্রসংশিত আনুগত্য। যেমন, পাপের বাইরে দায়িত্বশীল ও মাতাপিতার আনুগত্য করা। 2- মন্দ ও নিন্দনীয় আনুগত্য করা। আর তা হলো পাপ কাজে মাখলুকের আনুগত্য করা। এ ধরণের আনুগত্যের মধ্যে কতক আছে শির্ক। যেমন, হারামকে হালাল করা বা হালালকে হারাম করার ব্যাপারে বা মুর্তি পুজা বিষয়ে মাখলুকের আনুগত্য করা। আবার কোনো কোনো আনুগত্য ফাসেকী। যেমন, মদ পানে কোনো মাখলুকের আনুগত্য করা ইত্যাদি।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

বিবেক (আকল) - عقل

আকল (বিবেক) হলো এমন একটি শক্তি যাকে বানানো হয়েছে ইলম কবুল করা, ভালো মন্দ ও হক বাতিলের মধ্যে প্রার্থক্য নির্ধারণ করা এবং বিধান বুঝার জন্য। এটি মস্তিস্কের মৌলিক কর্মসমূহের একটি বিষয়। যেমন, চিন্তা করা, বুঝা ইত্যাদি। একে নুহা (النُّهى), লুব (اللُّبَّ) ও হিজর (الحِجْر) ইত্যাদি বলে নাম রাখা হয়। বিবেক ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন হয়ে তাকে। শরীআত পালনের জন্য বিবেক পূর্বশর্ত এবং ইলম ও অভিজ্ঞতা লাভের উপায়। এর দ্ধারা দীন ও আমল পরিপূর্ণ হয়। এটি দু‘প্রকার: 1- স্বভাবজনিত বিবেক। এটি হলো ইলম হাসিল করার উপায়। 2- উপার্জিত বিবেক। এটি হলো ইলমের প্রভাব ও তার ফল। যখন দুটিই কোনো মানুষের মধ্যে সমবেত হয়, তখন সে পূর্ণ হয় ও তার বিষয় সঠিক হয়। আর স্বভাগত হওয়ার অর্থ হলো, আল্লাহ এটিকে সৃষ্টির শুরুতে তার মধ্যে প্রতিস্থাপিত করেছেন। এটি বান্দার অর্জনের ফল নয়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ - محظورات

মাহযুরাত এমন সব হারাম বস্তুকে শামিল করে যা থেকে শরীআত প্রণেতা নিষেধ করেছেন এবং বিরত থাকতে বলেছেন, যাতে লিপ্ত ব্যক্তিকে তিনি শাস্তি দিবেন এবং যার থেকে বিরত থাকা ব্যক্তিকে তিনি সাওয়াব প্রদান করবেন। মাহযুরের আরও নাম হলো, মুহাররাম—হারাম, মাসিয়াত—অন্যায়, যানবুন-গুনাহ।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

ইজতিহাদ - اجتهاد

ইজতিহাদ হলো শরয়ী প্রমাণাদি থেকে শরীআতের বিধান জানা ও তা লাভ করার পদ্ধতিসমূহের একটি পদ্ধতি। শাখাগত বিধানসমূহ হতে কোনো একটি বিধান বের করার জন্য ফকীহের যথা সাধ্য চেষ্টা করা। সুতরাং দীনের যে সব বিষয়গুলো স্পষ্ট জানা গেছে সে সব বিষয়ে কোনো ইজতিহাদ নাই। যেমন, সালাতসমূহ ফরয হওয়া ও তা পাঁচ ওয়াক্ত হওয়া। উলামাগণ শরীআতে সংঘটিত ইজতিহাদকে বৈধতার দিক বিবেচনায় দুইভাগে ভাগ করেন: এক: শরীআতের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য ইজতিহাদ । আর তা হলো সেই ইজতিহাদ যা অভিজ্ঞদের থেকে পাওয়া যায় এবং তার শর্তসমূহের বাস্তবায় ঘটে। আর তা হলো দুই প্রকার: 1- সাধারণ: আর তা হলো, বুদ্ধিমান হওয়া, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া, মুসলিম হওয়া ও ন্যায়পরায়ন হওয়া। 2- বিশেষ: আর তা হলো, ইজতিহাদের যাবতীয় পদ্ধতিসমূহ এবং ইস্তেমবাতের নিয়ম ও মাধ্যমসমূহকে জানা ও তার ওপর চিন্তা করার ক্ষমতা। যেমন, কুরআন সুন্নাহ, ভাষা, উসূলে ফিকাহ ইত্যাদি জানা। দুই: শরীআতের দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য ইজতিহাদ। আর তা হলো এমন সব ইজতিহাদ যাতে ইজতিহাদের উপকরণ ও পদ্ধতিসমূহকে যথাযথ পালন করা হয় না। সুতরাং যে কোনো মতামত এভাবে বের হয়ে থাকে তা অগ্রহণযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। কারণ, এর বাস্তবতা হলো এটি কেবল একটি প্রবৃত্তির চাহিদা অনুযায়ী মত দেয়া ও প্রবৃত্তির অনুসরণ করা এবং দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য থাকা।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

বৈধ - جَائِزٌ

শরীআতের বিধানে বৈধতা অর্থ হলো শরীআত প্রণেতার পক্ষ থেকে কোনো কাজ করা বা ছেড়ে দেয়ার অনুমতি লাভ করা। একজন মুকাল্লাফ তাতে গুনাহ ও শাস্তি হতে নিরাপদ থাকে। উলামাগণ জায়েযকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন: 1- শরীআত অনুযায়ী বৈধ। আর তাই হলো এখানে উদ্দেশ্য। 2- যুক্তিকভাবে বৈধ। এ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সুস্থ জ্ঞানের দিক থেকে তা সম্ভব।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই