ইহরাম - إحْرامٌ

আল-ইহরাম: ইবাদতে প্রবেশ করার নিয়ত করা হোক সেটি হজ অথবা উমরা।এর অর্থ হচ্ছে, সে হজ বা উমরায় প্রবেশের নিয়ত করল ফলে তার ওপর শিকার করা, বিবাহ করা, সুগন্ধি লাগানো ইত্যাদি যা হালাল ছিল তা হারাম হয়ে যাবে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

ইহরামের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ - مَـحْظُوراتُ الإحْرامِ

ইহরামের নিষিদ্ধ বিষয়সমুহ: ইহরাম অবস্থায় যে কর্ম বা আচরণ করা নিষিদ্ধ সেগুলো নয়টি: মাথা মুণ্ডানো, নখ কাটা, সেলাই কাপড় পরিধান করা, মাথা ঢাকা, খুশবু ব্যবহার করা, স্থলের পশু শিকার করা বা তাড়ানো, বিবাহ করা, লজ্জাস্থান ব্যতীত অন্য যে কোন উপায়ে মেলামেশা করা এবং সহবাস করা। নারীরাও পুরুষেরই মতো। তবে তার ইহরাম তার চেহারায়। সে সেলাইযুক্ত কাপড় পরিধান করবে; তবে নিকাব ও হাত মুজা পরিধান করবে না। সে অপরিচিত লোকদের নজর থেকে সুরক্ষার জন্য মাথার উপর দিয়ে চেহারার ওপর কাপড় ঝুলিয়ে দিবে। মুহরিম ব্যক্তি যদি এ সব কর্মের কোনো একটি করে তাহলে তার হুকুমের ব্যাপারে ব্যাখ্যা রয়েছে। উমরাকারীর উমারার কাজ সম্পন্ন করার আগে বা হজকারীর দ্বিতীয় হালালের পূর্বে সহবাস করা দ্বারা তাদের হজ ও উমরা বাতিল হয়ে যাবে। তার ওপর জরুরি হজ বা উমরা পূর্ণ করা এবং অতঃপর তাকে অবশ্যই পরের বছর নতুন ইহরাম বেঁধে হজ বা উমরা পুনরায় আদায় করতে হবে এবং কাফফারাহ আদায় করতে হবে। আর তা হলো, হজের ক্ষেত্রে একটি উট এবং উমরার ক্ষেত্রে একটি ছাগল মক্কার গরীবদের জন্য জবেহ করতে হবে। আর যদি শিকার করে তার শাস্তি হলো, চুতুষ্পদ জন্তু হতে অনুরুপ একটি কুরবানি করতে হবে বা সাওম পালন করতে হবে বা সাদকা করতে হবে। আর বিবাহ সম্পন্ন করলে তার বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে, তবে তাতে কোন কাফফারাহ নাই। আর নখ কাটা, চুল কাটা, খুশবু লাগানো, মাথা ঢাকা, সেলাইযুক্ত কাপড় পরিধানের ক্ষেত্রে কষ্ট দূর করার ফিদয়া দিতে হবে। আর তা হলো, একটি বকরী জবেহ করা অথবা ছয়জন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়ানো অথবা তিনদিন সাওম পালন করা।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

জবেহ করা। - ذَكَاةٌ

জন্তু জবেহ করার অর্থ জন্তুর রক্ত প্রবাহিত করা। অর্থাৎ তাকে মেরে ফেলার জন্যে তার রক্ত প্রবাহিত করা ও বের করে দেয়া। জবেহ করার দুটি পদ্ধতি আছে। একটি হয়, গলা ও রগ কাটার দ্বারা, একে জবেহ বলে নাম রাখা হয়। অথবা খাদ্য নালীতে আঘাত করা দ্বারা হয়ে থাকে। আর তা হলো এমন স্থান যেটি গলা ও সীনার মাঝখানে থাকে। এটিকে বলা হয় নাহার। যবেহের ভেতর সর্বনিম্ন হলো, গলা কাটা যা শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলের স্থান এবং খাদ্যনালী কাটা যা দ্বারা খাদ্য ও পানীয় ভিতরে প্রবেশ করে। সবোর্চ্চ জবেহ হলো, এ দুটিকে দুই রগসহ কাটা। আর রগ দুটি হলো, ঘাড়ের দুই পাশে। আর জবেহ ও নাহর হয়, জন্তুর ওপর ক্ষমতা থাকা অবস্থায়। আর দ্বিতীয় প্রকার জবেহ হলো, যা জন্তুর যে কোন অঙ্গে আঘাত করা দ্বারা হয়। আর এটি খাস হলো সে সব জন্তুর ক্ষেত্রে যেগুলো পলায়ন করে এবং যার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না তার ক্ষেত্রে। উভয় পদ্ধতিতে জবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উল্লেখ করা জরুরী।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

উমরাহ - عُمْرَةٌ

একজন মুসলিম যে সব ইবাদত ও আনুগত্য করা দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করে উমরা হলো তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ও মহান ইবাদত ও আনুগত্য। এটি জীবনে একবার ওয়াজিব। এটি হলো মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা, তারপর তাওয়াফ তারপর সাঈ , তারপর মাথা মুন্ডানো বা চুল ছোট করা। এটি দুই প্রকার: 1- একক উমরা যেটি বছরের যে কোনো সময় আদায় করতে পারবে। 2- তামাত্তু হজের উমরা, এটি হজের মাস ছাড়া অনুষ্ঠিত হয় না।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ - محظورات

মাহযুরাত এমন সব হারাম বস্তুকে শামিল করে যা থেকে শরীআত প্রণেতা নিষেধ করেছেন এবং বিরত থাকতে বলেছেন, যাতে লিপ্ত ব্যক্তিকে তিনি শাস্তি দিবেন এবং যার থেকে বিরত থাকা ব্যক্তিকে তিনি সাওয়াব প্রদান করবেন। মাহযুরের আরও নাম হলো, মুহাররাম—হারাম, মাসিয়াত—অন্যায়, যানবুন-গুনাহ।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই