ঈমানের বৃদ্ধি ও হ্রাস - زيادة الإيمان ونقصانه

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদাহ হলো, ঈমান বাড়ে এবং কমে। ঈমাদারগণ তাদের ইলম ও আমল অনুযায়ী একে অপরের ওপর প্রাধান্য লাভ করে। ফলে তাদের কতক কতক থেকে ঈমানের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ। কুরআন ও হাদীস এবং সালফে সালেহীনের বাণী দ্বারা প্রমাণিত যে, ঈমানের রয়েছে একাধিক স্তর ও অনেক শাখা প্রশাখা এবং ঈমান বৃদ্ধি পায় ও হ্রাস পায়। বিশ্বাস শক্তিশালী ও অধিক হওয়ার কারণে এবং আমল ও কথা সুন্দর ও অধিক হওয়ার কারণে ঈমান বাড়ে, যেমন অন্তরের আমল, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল ও মুখের কথা, যেমন আনুগত্য ও সকল নৈকট্যপূর্ণ আমল আঞ্জাম দেয়া। আর এর বিপরীতের দ্বারা ঈমান হ্রাস পায়। যেমন গুনাহ করা ও নিষিদ্ধ কর্মসমূহ করার কারণে। অতএব যখন কোন বান্দা স্বীয় রবের ইবাদতে অগ্রসর হয় এবং তা সংরক্ষণ করে তখন তার ঈমান বৃদ্ধি পায়। আর যখন কোন বান্দা তার যিকির থেকে বিমুখ হয় এবং কোন প্রকার গুনাহের কাজে লিপ্ত হয় তখন সে অনুযায়ী তার ঈমান হ্রাস পায়। ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাস অনেক কারণে হয়ে থাকে। এটি সামগ্রীকভাবে দুটি কারণের দিকে ফিরে। ঈমানের বৃদ্ধি পাওয়া রবের নির্দেশের কারণে। কারণ, মুসলিমগণ প্রথম যুগে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঈমানের জন্য আদিষ্ট ছিল। তারপর তারা অন্যটির জন্য আদিষ্ট হন। আর ঈমানের বৃদ্ধি পাওয়া বান্দার কর্মের কারণে হয়ে থাকে। সুতরাং যে ওয়াজিবগুলো আদায় করল তার ঈমান যে তাতে ত্রুটি করল তার ঈমানের মতো নয়। আর যে সব নস ঈমান বৃদ্ধিকে প্রমাণ করে সেটি বিপরীত দিকে ঈমান হ্রাস পাওয়াকেও প্রমাণ করে। অনুরূপভাবে তার বিপরীত। কারণ, বৃদ্ধি ও হ্রাস একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এছাড়াও যার ওপর বৃদ্ধি পাওয়া প্রয়োগ করা হয় তার ওপর হ্রাস পাওয়াও প্রমাণিত হয়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

খুলাফায়ে রাশেদীন - الخُلفاءُ الرّاشِدُونَ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর এ উম্মাতের সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি হলেন, চার খলিফা যাদের অনুসরণ করা এবং তাদের আদর্শ মজবুত করে ধরার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন। তারা হলেন, আবূ বকর সিদ্দীক, আবূ হাফস উমার ইবনুল খাত্তাব, যুন নুরাইন উসমান ইবন আফফান ও আবূল হাসান আলী ইবনে আবূ তালেব রাদিয়াল্লাহু আনহুম, যারা ইসলামের শুরুতেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর দীনকে ঈলম, আমল ও দাওয়াত সর্বদিক থেকে কায়েম করার লক্ষ্যে এবং মুসলিমদের কল্যাণ ও দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের যাবতীয় কর্ম আঞ্জাম দেওয়ার জন্য খিলাফত ও ইমামতের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন। তাদের খিলাফত ত্রিশ বছর স্থায়ী হয়। দুই বছর তিন মাস হলো আবূ বকরের খিলাফতের সময়। আর উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফত সাড়ে দশ বছর, উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফত বারো বছর এবং আলী রাদিয়ালল্লাহু আনহুর খিলাফত চার বছর নয় মাস। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা হলো তাদের মর্যাদার ধারাবাহিকতা তাদের খিলাফতের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

গোমরাহী - ضلال

আদ-দালাল (الضلال) গোমরাহী অর্থ হলো, সঠিক পথের ওপর অবিচল না থাকা। চাই তা কথার মধ্যে হোক বা কর্মের মধ্যে হোক বা বিশ্বাসের মধ্যে হোক। দালাল (الضلال) - গোমরাহী দুই প্রকার: 1- ইলম ও বিশ্বাসে গোমরাহী। যেমন কাফের. মুর্তি পুজারী ও আল্লাহর সিফাতকে অস্বীকারকারীদের গোমরাহ হওয়া । 2-আমল ও আহকামের ক্ষেত্রে গোমরাহ হওয়া। যেমন, গোনাহগারদের গোমরাহ হওয়া। আর গোমরাহ হওয়ার কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে কুরআন ও সুন্নাহকে ছেড়ে দেয়া। যুক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া, বিদআত করা, প্রবৃত্তির অনুসরণ করা, অজ্ঞতা ও সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

কবীরাসমূহ - كَبائِرٌ

গুনাহের বিভিন্ন স্তর ও শ্রেণি রয়েছে। তন্মধ্যে কিছু গুনাহ গুনাহকারীকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। আর তা হলো শির্ক ও আল্লাহর সাথে কুফরী করা। আর কতক আছে যা গুনাহকারীকে ইসলাম থেকে বের করে দেয় না। কিন্তু তার ঈমান ও ইসলামকে হ্রাস করে দেয়। এটি দুইভাগে বিভক্ত: 1- কবীরাহ গুনাহ। আলেমগণ এর সংজ্ঞায় একাধিক মত দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেন, তা হলো এমন সব গুনাহ যে গুলোর বর্ণনাকে আল্লাহ বা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহান্নাম বা ক্রোধ বা অভিশাপ বা আযাব দিয়ে শেষ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেন, তা হলো যে সব গুনাহের ওপর দুনিয়াতে আল্লাহ শাস্তি বা আখিরাতের আযাবের হুমকি দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেন, তা হলো যে সব গুনাহে বান্দা তাদের নিজেদের মধ্যে জুলুম করে। কেউ কেউ বলেন, তা হলো এমন সব গুনাহ যা করতে মানুষ ভয় অনুধাবন করে না এবং লজ্জা অনুভব করে না । বরং তাকে তুচ্ছ মনে করে থাকে এবং সাহস পদর্শন করে করে থাকে। আর হদ বা শাস্তি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শরীআত নির্ধারিত শাস্তি। যেমন, চুরি ও ব্যভিচারের শাস্তি। কারণ, চুরি করার শাস্তি হলো হাত কাটা। আর হুমকি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, ধমক দেওয়া, জাহান্নামের ভয় দেখানো বা ক্রোধের বা আল্লাহর রহমাত থেকে দূরে সরানো ইত্যাদি। যেমন, ছিনতাই করা বাপ ছাড়া অন্যের প্রতি বংশের দাবি করা। 2- সগীরা গুনাহ: যে সব গুনাহরে ওপর কোন শাস্তি বা ধমক আসেনি। তবে বার বার করা দ্বারা তা কখনো কখনো কবীরাহ গুনাহে পরিণত হয়। যেমন কোন অপরিচিতা নারীর দিক বার বার তাকানো।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই