মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার মানে হলো, তাদের আনুগত্য করা, তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা তাদের কষ্ট না দেয়া, তাদের মহব্বাত প্রকাশ করা এবং তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। আর এমন সব কর্ম দ্বারা তাদের সন্তুষ্টি করা যা করলে তারা খুশি হয়, যতক্ষণ তাতে পাপ না থাকবে। এখানে মাতা পিতা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, বাবা ও মা। অনুরূপভাবে তা শামিল করে দাদা দাদি। চাই তারা মুসলিম হোক বা কাফির। তাদের মৃত্যুর পর তাদের সাথে ভালো ব্যবহার হলো, তাদের বন্ধু বান্ধব এবং তাদের সাথীদের সম্মান করা।
আত্মীয় সম্পর্ক বলতে আত্মীয়দের সাথে যাবতীয় ধরনের ভালো ব্যবহারকে বুঝায়। চাই বাহ্যিক হোক বা আত্মীক হোক। আর তা একাধিকভাবে হতে পারে। সম্পদ দ্বারা হতে পারে। সম্মান পদর্শন দ্বারা হতে পারে, উপদেশ দ্বারা হতে পারে, মতামত ও পরামর্শ দ্বারা হতে পারে। শরীর দ্বারা হতে পারে। আবার কখনো দেখা শোনা করা, দোয়া করা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, ইয্যতের হেফাযত ইত্যাদি দ্বারা হতে পারে। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক আত্মীয়, সম্পর্ক এবং তাদের অধিকার ও অবস্থার ভিন্নতার কারণে বিভিন্ন হয়ে থাকে। আর নিকট আত্মীয় দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, ব্যক্তির পরিবার এবং তার ও আত্মীয়ের মধ্যে বংশ রয়েছে। যেমন, মাতা-পিতা ও তার দাদা, পর দাদা যদিও তা উপরে আরও যায়। অনুরুপভাবে সন্তান সন্ততি নাতি পুতি যত নিচেই যাক। আর ভাই ও তার সন্তানেরা বোন ও তাদের সন্তানেরা। চাচা, ফুফি, মামা খালা ও তাদের সন্তানেরা। আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কাছে হওয়া জরুরি নয়। আর একজন মানুষকে তার নিয়্যতের কারণেই সাওয়াব দেয়া হবে এবং আল্লাহর ইবাদত হিসেবে করার কারণে সাওয়াব দেওয়া হবে। আর এটিকে ভাগাভাগি করা যায় না। সুতরাং কারো জন্য এটি বৈধ নয় যে, কাউকে খাস করবে এবং অপরকে বাদ দেবে। যেমনটি বর্তমানে কিছু মানুষ করে থাকে। তারা কতকের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে আবার দুনিয়াবি কারণে কারো কারো সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে। আর সুস্পষ্ট ভুল ধারণা হলো এ ধারণা করা যে, এটি শুধু এক প্রকার যেমন মাল। বরং এটি হলো দেখতে যাওয়া, সাক্ষাত করা, সালাম দেওয়া ইত্যাদি। চাই তা আনন্দের সময় হোক বা বিপদের সময়।