বিবাহ (নিকাহ) - نِكَاحٌ

নিকাহ (বিবাহ) হলো মানব জীবনের একটি স্বভাবজাত সুন্নত যার প্রতি ইসলাম উৎসাহ প্রদান করেছে। তাতে অনেক হিকমাত ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এর রুকন হলো পাঁচটি : (ইজাব ও কবুলের) বাক্য, স্বামী, স্ত্রী, দুইজন সাক্ষী এবং অভিভাবক। বিবাহের মাধ্যমে যেসব বিষয় হাসিল হয়: ১-স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জন্য একে অপরকে উপভোগ করা হালাল হওয়া। ২- বিবাহের মাধ্যমে (কতিপয়) হারাম সাব্যস্ত হওয়া। ৩-স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে মিরাস চালু হওয়া। ৪- সন্তানের বংশ প্রমাণিত হওয়া। বিবাহকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় : একটি হলো বিশুদ্ধ বিবাহ যার মধ্যে শর্ত ও রুকনসমূহ পাওয়া যায়। আর অপরটি হলো অশুদ্ধ বিবাহ যার মধ্যে কোনো রুকন বা শর্ত ত্রুটি যুক্ত হয়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

পবিত্র - طُهْرٌ

হায়েয ও নিফাসের রক্ত থেকে মেয়েদের মুক্ত হওয়াকে তুহর (পবিত্রতা) বলে। পবিত্রতার দুটি আলামত রয়েছে। রক্ত পড়া বন্ধ হওয়া যাকে ফকীহগণ জাফাফ (الـجَفاف) বলে ব্যক্ত করেন। অর্থাৎ যখন নারী তার লজ্জাস্থানে কোন কাপড়ের টুকরা বা রুই (তুলা) প্রবেশ করানোর পর তা বের করে তখন তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অবস্থায় বের হয়। আর দ্বিতীয় আলামত হলো, সাদা স্রাব দেখা। আর তা হলো সাদা পানি যা হায়েয শেষ হওয়ার পর মহিলাদের লজ্জাস্থান হতে বের হয়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

তালাক - طَلاقٌ

তালাক: আর তা হচ্ছে শরয়ী পদ্ধতিতে বৈবাহিক সম্পর্ক ও দাম্পত্য জীবনের পবিত্রতা দূর করার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পৃথক হয়ে যাওয়া। চাই সেটা পুরোপুরিভাবে হোক যা তিন তালাকে বায়েন দেওয়ার মাধ্যমে আরোপিত হয়ে থাকে অথবা আংশিকভাবে হোক যেমন তালাকে রজয়ীর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এখানে বিবাহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো বিশুদ্ধ বিবাহ। আর যদি বিবাহ বাতিল বা ফাসিদ হয় তাতে তালাক শুদ্ধ হয় না। যেমন যাকে বিবাহ করেনি তাকে তালাক দেয়া। আর স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের মাঝে এ ধরণের সম্পর্ক নিশ্চিহ্ন করার জন্য মুখে শব্দ উচ্চারণ করতে হবে। আর সে শব্দ দুই প্রকার: ১- স্পষ্ট শব্দ, যেমন, তালাক শব্দ এবং তা থেকে নির্গত শব্দ। যেমন কেউ বলল, (طَلَّقْتُكِ) আমি তোমাকে তালাক দিলাম অথবা বলল, (أَنْتِ طالِقٌ) তুমি তালাক অথবা বলল, (أَنْتِ مُطَلَّقَةٌ) তুমি তালাক প্রাপ্তা। ২- অস্পষ্ট শব্দ। আর তা হলো কিনায় (ইশারা-ইঙ্গিতের) শব্দসমূহ। তার মধ্যে তালাকের নিয়ত থাকতে হবে। এগুলো অবস্থা-পরিবেশ বেধে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, বলল, (هذا آخرُ مَا بَيننا) এটি আমাদের মাঝে শেষ বোঝাপড়া ও দেখা অথবা বলল, (اغْرُبي عنِّي) তুমি আমার থেকে দূর হও অথবা বলল, (حبلُكِ على غاربِك) তোমার দায়িত্ব তোমার ঘাড়ে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

আশুরা - عاشُوراءُ

আশুরা: এটি মুহাররম মাসের দশম দিন। এ দিন সাওম পালনের কথা হাদীসে বর্ণিত আছে। এটি অতীতের এক বছরের গুনাহের কাফফারাহ। গুনাহ দ্বারা সাগীরাহ গুনাহ উদ্দেশ্য। যদি তার সাগীরাহ গুনাহ না থাকে তাহলে কবীরাহ গুনাহকে হালকা করা হবে। এ হালকা করাটি আল্লাহর অনুগ্রহের ওপর নির্ভর করবে। আর যদি কবীরাহ গুনাহ না থাকে তাহলে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। আর এ দিনটিকে কেন্দ্র করে যে সব অনুষ্ঠান, সুরমা লাগানো, খিযাব লাগানো এবং আশুরার দিনে ও রাতে পরিবারের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি জমহুর আহলে ইলমের মতে এটি বিদআত। কারণ, এ দিনে ফযীলত সম্পর্কে একমাত্র সাওম ছাড় আর কোনো আমল প্রমাণিত নয়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

বাদ্যযন্ত্রসমূহ। - مَعَازِفُ

মায়াযেফ (المَعَازِفُ) হলো, গানের যন্ত্র, যেমন, বাঁশি, একতারা, লাঠি ও তবলা ইত্যাদি। আর এটি কখনো গানের সাথে বা গান ছাড়া ব্যবহার করা হয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগুলোর ধরণ বিভিন্ন হয়ে থাকে। বর্তমানে ও পূর্বের যুগ থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় এগুলো তার, শীট, চামড়া কাঠ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয়। বাদ্য যন্ত্র হলো, আত্মার নেশা। যখন তার ভক্তরা আওয়াযের দ্বারা মাতাল হয়, তখন তারা অশ্লীলতা, জুলুম, হত্যা, ব্যভিচার, ডাকাতি ও বিভিন্ন অপরাধের প্রতি ঝুকে পড়ে। এটি অসংখ্য প্রমাণাদি দ্বারা শরীয়াতে হারাম।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

শরীয়তের উদ্দেশ্যাবলী - مَقَاصِدُ الشَّرِيعَةِ

শরীআতের মাকাছেদ (مَقَاصِدُ الشَّرِيعَةِ): সেসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বলে যেগুলো শরীআত নিয়ে এসেছে এবং (হালাল-হারাম) বিধানসমূহে তা বাস্তবায়ন করেছে। আর প্রত্যেক স্থানে ও যুগে তার বাস্তবায়ন, সুন্দরভাবে তার সংরক্ষণ ও তার হিফাযতের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। আর শরীআত যেই স্বার্থ (কল্যাণ) হিফাযত করার জন্য এসেছে তার বিবেচনায় মাকাছেদে শরীআহ (শরীআতের উদ্দেশ্যবলী) তিন ভাগে ভাগ হয়: 1- জরুরি মাকাছেদ (المَقَاصِدُ الضَّرُورِيَّةُ): দীন ও দুনিয়াবী কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় যা খুবই জরুরী, যদি তা না থাকে মহা ফাসাদ দেখা দেবে। আর তা পাঁচটি মৌলিক বিষয় হিফাযত করার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। আর তা হলো, দীন, জ্ঞান, নাফস, বংশ ও সম্পদ। 2- প্রয়োজনীয় মাকাসেদ (المَقَاصِدُ الحَاجِيَّةُ): আর হলো যদি তা পাওয়া না যায়, তখন মানব জাতির ওপর কষ্ট ও বিপদ নেমে আসে। 3- সৌন্দর্যবর্ধক মাকাসেদ (المَقَاصِدُ التَّحْسِينِيَّةُ): আর তা হলো যা মানুষের অবস্থাকে সুন্দর করে এবং তার জীবনকে সুন্দরভাবে পূর্ণতা দান করে। এটিকে মাকাসেদে কামালিয়্যাহ, তাকমীলিয়্যাহ অথবা কামালিয়্যাত বলে নাম করণ করা হয়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই