মুসহাফ: দুই গিলাফের মাঝখানে একত্রিত আল্লাহর কালাম যা তার রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর নাযিল করা হয়েছিল। চাই লিখিত কুরআন পুরোপুরি হোক বা তার আংশিক হোক, কুরআনের সাথে খাস হলেই হবে। যেমন, তাবারাকার পারা (29তম) ইত্যাদি। কুরআনকে মুসহাফ বলে নাম রাখার প্রচলন আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর যুগ থেকে শুরু হয়।
সূরা কুরআনের আয়াতসমূহের আলাদা সমষ্টির নাম, যার শুরু ও শেষ রয়েছে এবং যার স্বতন্ত্র নাম রয়েছে। কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরার আয়াত সংখ্যা হলো তিন। কুরআন কারীমের সূরার সংখ্যা হলো, একশত চৌদ্দটি। মুসহাফে উসমানীতে এগুলো ছোট বড় রয়েছে এবং তাদের মর্যাদাও ভিন্ন ভিন্ন। প্রথম সূরা হলো সূরা ফাতিহা আর শেষ সূরা হলো সূরা নাস।
দুআ হলো একটি মহান ইবাদত ও মহৎ আনুগত্য। এটি বান্দা ও তাঁর রবের মাঝখানে সেতু বন্ধন। দু‘আ দুই প্রকার: 1- প্রার্থনার দু‘আ। এটি হয় মুখের কথার দ্বারা দুনিয়া ও আখিরাতে সংঘটিত উপকার তলব বা ক্ষতি রোধ করার মাধ্যমে। যেমন, তুমি বললে, হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করো, হে ক্ষমাশীল। এটি দু হাত তুলে বা শাহাদত আঙ্গুল উচা করে করা হয়। 2- ইবাদতের দু‘আ। এটি হয় যাহেরী বাতেনী কথা, কর্ম ও নিয়ত সব ধরনের ইবাদতের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার মাধ্যমে। আর দু‘আকারী এক আল্লাহ ছাড়া কাউকে ডাকবে না। কাজেই সে কোনো নবী, কোনো মালাক, কোনো ওলী বা কোনো মৃতকে ডাকবে না। দু‘আর সময় অবশ্যই বিনয়ী হবে ও মন হাজির রাখবে আল্লাহর প্রতি সুধারণাসহ এবং দুআ কবুল হওয়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়া না করা, অসম্ভব কিছু চেয়ে বা গুনাহের জন্য দুআ করে বা আত্মীয়তা ছিন্নের দুআ করে দুআতে সীমালঙ্ঘন না করা। দুআ হলো বান্দার তার রবের কাছে সুদৃষ্টি চাওয়া এবং একমাত্র তার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করা। এটির বাস্তবতা হলো, তাঁর কাছে হাজতকে তুলে ধরা এবং তার যে শক্তি ও সামর্থ্য রয়েছে তা থেকে মুক্ত হওয়া। এটি হলো গোলামীর চূড়ান্ত নিদর্শন এবং মানবিক শোচনীয়তার বহিঃপ্রকাশ। আর তাতে রয়েছে আল্লাহর প্রশংসা এবং তাঁর সঙ্গে দান ও বদান্যতাকে সম্পৃক্ত করা। আর দুআ পরিহারকারী হয় হতাশ অথবা অহংকারী।