নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত। - الصَّلاةُ على النَّبِيِّ صلّى اللهُ عليه وسلّم

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত পড়া একটি মহান ইবাদত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তার সম্মান ও মর্যাদা। সালাতের শব্দাবলীর অন্যতম হলো صلّى اللهُ عليه وسلّم বলা (আল্লাহ তার ওপর সালাত ও সালাম প্রেরণ করুন)। আর নূন্যতম বলা হলো (اللَّهُمَّ صلِّ على مُحَمَّدٍ) হে আল্লাহ মুহাম্মাদের উপর সালাত নাযিল করুন। আর উত্তম হলো সালাতে (দুরুদে) ইবরাহীমী। আর তা হলো এ কথা বলা, (للَّهُمَّ صلِّ على مُحَمَّدٍ، وعلى آل مُحَمَّدٍ، كما صَلَّيْتَ على آل إبْراهِيمَ إنّك حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بارِك على مُحَمَّدٍ وعلى آل مُحَمَّدٍ، كما بارَكْتَ على إِبْراهِيمَ، إنّك حَمِيدٌ مَجِيدٌ) এ দরুদের আরও বর্ণনা রয়েছে। হাদীসে বর্ণিত (اللَّهمَّ صَلِّ عليه) এর অর্থ: হে আল্লাহ আপনি উর্ধ্বজগতে আপনার সম্মানিত মালায়েকাদের মাঝে তাঁর প্রশংসা করুন।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

নিরাপত্তা - عِصْمَةٌ

ইসমত হলো, শরয়ী নিরাপত্তা যা একজন মানুষের জন্য সাব্যস্ত হয়। যে কারণে তার রক্ত, মাল ও ইজ্জত হারাম হয়ে যায়, তবে হকের কারণে তা হালাল হয়ে যায়, যেমন কিসাস প্রভৃতি। আর তা হলো দুই প্রকার: 1- মুসলিমের নিরাপত্তা: আর তা হয়ে থাকে শাহাদাতাইন তথা দুই সাক্ষ্য মুখে উচ্চারণ করার ফলে। 2- যিম্মি কাফেরের নিরাপত্তা: তা সাব্যস্ত হয়, মুসলিমদের পক্ষ থেকে তাকে নিরাপত্তা প্রদান ও তার সঙ্গে চুক্তি করা দ্বারা। সুতরাং ইমামের ওপর দায়িত্ব হলো যে কেউ তাদের জান বা মাল বা ইজ্জতের ক্ষতি করতে চায় তাদের থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কোনো কোনো ফকীহ এ নিরাপত্তাকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন: 1- মূল্য নির্ধারিত নিরাপত্তা: এটি হলো, এমন নিরাপত্তা বিধান যার দ্বারা একজন মানুষের জন্য, তার সম্পদের জন্য এবং তার ইয্যতের জন্যে মূল্য সাব্যস্ত হয়। ফলে যে ব্যক্তি এর কোনটি লঙ্ঘণ করবে তার কিসাস বা দিয়ত বা জরিমানা ওয়াজিব হবে। যেমন, মুসলিমকে হত্যা করা। 2- গুনাহগার হওয়ার নিরাপত্তা: আর তা হলো যে এগুলো লঙ্ঘন করবে তার গুনাহ সাব্যস্ত হবে। তার ওপর কোন কিসাস বা দিয়ত বা জরিমানা ওয়াজিব হবে না। যেমন, হারবীদের বাচ্চা, তাদের নারী ও বৃদ্ধ যাদের হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে তাদের কাউকে হত্যা করা।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনা। - الإيمان بالأنبِياء والرُّسل

ঈমানের মৌলিক বিষয় হতে একটি হলো, সমস্ত নবী ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনা, যাদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আর এ কথা বিশ্বাস করা যে, তারা তার সত্যিকার রাসূল এবং সত্যিকার নবী। আল্লাহ তাদেরকে মানুষের জন্য প্রেরণ করেছেন হিদায়াত ও সত্যাবানী সহকারে। তারা সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শকারী। আর এ কথা বিশ্বাস করা যে, তারা আমানত আদায় করেছেন এবং তাদের উম্মতের সদোপদেশ দিয়েছেন এবং আল্লাহ তাদের যা পৌঁছানোর আদেশ দিয়েছেন তা তারা পরিপূর্ণভাবে পৌঁছিয়েছেন। যারা তাদের অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে যাবে আর যারা তাদের অবাধ্য হবে তারা জাহান্নামে যাবে। আরও বিশ্বাস রাখতে হবে তাদের ফযীলত, তাদের উচ্চ মর্যাদা এবং সম্মানের প্রতি এবং মহান আল্লাহ তাদের বাছাই ও পছন্দ করেছেন এবং তাদের অন্যান্য মানুষের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন, যেমন তাদেরকে তিনি তার রিসালাতের দ্বারা বিশেষায়িত করেছেন এবং সমগ্র জগতের ওপর তাদের প্রাধান্য দিয়েছেন। আর তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের তারতম্যকে বিশ্বাস করতে হবে এবং নবীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো রাসূলগণ। আর রাসূলগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাদের মধ্যে যারা উলুল আযম তারা। আর উলুল আযমের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনয়নে চারটি জিনিস জরুরী: 1- এ কথা বিশ্বাস করা যে, তাদের রিসালাত আল্লাহর পক্ষ থেকে হক। 2- তাদের মধ্যে যার নাম আমরা জানি তাকে তার নামসহ বিশ্বাস করা। আর তাদের থেকে যাদের নাম আমরা জানিনা, তাদের প্রতি আমরা মোটের ওপর বিশ্বাস করবো। কারণ, আল্লাহর কতক নবী ও রাসূল আছে যাদের নাম আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। 3- তাদের সম্পর্কে যে সব সংবাদ, তাদের যে ফযীলত, বৈশিষ্ট্য এবং তাদের কাওমের সাথে তাদের যেসব ঘটনা বিশুদ্ধ তার প্রতি বিশ্বাস করতে হবে। যেমন, আল্লাহ ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করেছেন। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বন্ধ রূপে গ্রহণ করেছেন। মুসা আলাইহিস সালামের সাথে কথা বলেছেন, দাউদ আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য পাহাড়সমূহকে এবং সুলাইমান আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য বাতাসকে অনুগত করেছেন ইত্যাদি। 4- তাদের থেকে যাকে আমাদের নিকট প্রেরণ করেছেন, তাঁর শরীআত অনুযায়ী আমল করা। আর তিনি হলেন তাদের সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি সমগ্র মানবজাতির নিকট প্রেরিত।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

রাসূলগণের মধ্যে দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারীগণ। - أولو العزم من الرسل

উলুল আযম রাসূলগণ: তারা হলো সেসব নবী যারা মানবজাতির সর্বোৎকৃষ্ট ও আল্লাহর অধিক তাকওয়া অবলম্বনকারী। আল্লাহ কতক রাসূলকে কতকের ওপর পূর্ণতা দিয়েছেন এবং কতককে কতকের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন। আর এর কারণ হলো, আল্লাহ যাদের ফযীলত দান করেছেন, তাদের তিনি এমন কল্যাণ দিয়েছেন যা তিনি অন্য কাউকে দেননি বা তার মর্যাদাকে অন্যের মর্যাদার ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন। অথবা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে, তার প্রতি দাওয়াত দেওয়াতে এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে তিনি অন্যদের চেয়ে অধিক পরিশ্রম করেছেন, ফলে তারাই উলুল আযম রাসূলগণ। আর তাদেরকে উলুল আযম বলা হয়, কারণ, তারা তাদের কাওমের যুলুম-নির্যাতনের ওপর সবর করেছেন। তাদের দেওয়া কষ্ট-ক্লেশ ও গাল-মন্দ ইত্যাদির ওপর সবর করেছেন। অন্যদের তুলনায় তারা বেশি কষ্ট সহ্য করেছেন। আর যে আযম (العزم ) দ্বারা আল্লাহ তাদের প্রসংশা করেছেন এবং তাদের ফযীলত বর্ণনা করেছেন তার অর্থ হলো, দৃঢ়তা, প্রত্যয়, শক্তি। আর সবর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, রিসালাতের দায়িত্ব গ্রহণের ওপর ধৈর্যধারণ করা, আমানত আদায় ও তা বহন করার কষ্টের ওপর ধৈর্যধারণ করা। রিসালাতের দায়িত্ব আদায় ও তাবলীগ করার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক চেষ্টা ও সর্ব শক্তি ব্যয় করা, সাথে যাদের কাছে তাদের প্রেরণ করা হয়েছে তাদের কষ্টের ওপর ধৈর্য ধারণ করা। এ ধরনের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের নিদর্শন হলো, নূহ আলাইিহ সালাম অন্যদের থেকে অধিক মর্যাদাবান, কারণ, তিনি হলেন, সর্ব প্রথম রাসূল যাকে আল্লাহ রাসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন। আর তিনি হলেন, মানব জাতির দ্বিতীয় পিতা। তার পর যত নবীগণ দুনিয়াতে এসেছেন সবাই তারই বংশধর। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। কারণ, তিনি রহমানের বন্ধু, আল্লাহ তাকে বিভিন্ন মুজিযা দ্বারা সম্মানিত করেছেন। ফলে তার বংশধরদের মধ্যে নবুওয়াত ও আসমানি কিতাব নাযিল করেছেন। মানুষের অন্তর তার মুহাব্বাতে এবং তাদের মুখ তার প্রসংশায় পরিপূর্ণ। মুসা আলাইহিস সালাম অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। কারণ, তিনি কালীমুল্লাহ, তিনি বনী ইসলাঈলের মহান নবী। তার শরীআত ও কিতাব বনী ইসরাইলের নবীগণ ও তাদের আলেমদের মূল। আর তার অনুসারীদের সংখ্যা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারী ছাড়া সব নবীগণের থেকে অধিক। ঈসা আলাইহিস সালাম অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। কারণ আল্লাহ তাআলা তাঁর সত্যতা প্রমাণে অনেক মুজিযা দিয়েছেন। তিনি সত্যিকারে আল্লাহর রাসূল। তিনি আল্লাহর হুকুমে অন্ধ এবং কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য দান করতেন এবং মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতেন। তিনি শৈশবে দোলনায় মানুষের সাথে কথা বলেছেন। আল্লাহ তাঁকে রুহুল আমীনের মাধ্যমে সাহায্য করেছেন। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত সব রাসূল থেকে সর্বোত্তম রাসূল। তিনি শেষ নবী, মুত্তাকীনদের ইমাম, আদম সন্তনের সরদার, যে মাকামে মাহমুদের প্রতি আগের ও পরের সবাই আগ্রহ করবেন তিনি তার অধিকারী। তিনি হামদ ও হাউযে কাউসারের মালিক। কিয়ামতের দিন মাখলুকের সুপারিশকারী, তিনি ওসীলাহ ও ফযীলাহের মালিক, যাকে আল্লাহ সর্বত্তোম কিতাব দিয়ে প্রেরণ করেছেন। তার জন্য চালু করেছেন তার দীনের সর্বত্তোম শরীআতসমূহ। আর তার উম্মাতদের সবোর্ত্তম উম্মাত বানিয়েছেন যাদের মানুষের কল্যাণে বের করা হয়েছে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

ইঞ্জিল - إنجيل

ইঞ্জিল: এটি সে কিতাব যা আল্লাহ তা‘আলা ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর তাওরাতের পরিপূর্ণকারী ও সমর্থনকারী হিসেবে নাযিল করেছেন। আর অধিকাংশ শরয়ী বিষয়ে এটি তার মোতাবেক ছিল। এটি সিরাতে মুস্তাকীমের দিকে নিয়ে যায়। এটি বাতিল থেকে হককে স্পষ্ট করে। এটি গায়রুল্লাহকে ত্যাগ করে এক আল্লাহর ইবাদাতের দিকে আহ্বান করে। ইঞ্জিলের নিজস্ব বিধান খুব কমই রয়েছে। এর অধিকাংশ বিধান তাওরাতের বিধানের অনুসরণ করে। ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লামের আসমানে উঠিয়ে নেওয়ার পরে- খৃস্টানদের ধারণা মতে, তার মৃত্যুর পরে- ইঞ্জিলে বিকৃতি ঘটে। তাতে পরিবর্তন হয়, বাড়ানো হয় ও কমানো হয়। পূর্বের কিতাবসমূহ রহিতকারী আসমানি কিতাব হলো কুরআন। খৃষ্টানদের নিকট গ্রহণযোগ্য ইঞ্জিল চারটি। আর তা হলো, ইঞ্জিলে ইউহান্না, ইঞ্জিলে মুরকুস, ইঞ্জিলে মাত্তা ও ইঞ্জিলে লুকা। এ সব ইঞ্জিলের আলোচ্য বিষয়গুলোকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা সম্ভব। সংক্ষিপ্তাকারে তা নিম্নরূপ: 1- কাহিনীসমূহ: অধিকাংশ অধ্যায় জুড়েই রয়েছে ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাহিনী। তার জন্ম, তারপর তার দাওয়াত, তারপর তাকে শুলে চড়ানো, তার দাফন করা, কবর থেকে তাকে উঠানো, তারপর তাকে আসমানে তুলে নিয়ে যাওয়াসহ প্রভৃতি ঘটনা সম্পর্কে তাদের ধারণা মোতাবেক আলোচনা করে। 2- বিশ্বাসসমূহ: ঈসা মাসীহের ইলাহ হওয়া এবং তার আল্লাহর পুত্র হওয়া এবং বিকৃত নাসরানী দীনের মৌলিক আকিদা সাব্যস্তের ওপর গুরুত্বারোপ করে। তবে ইঞ্জিলসমূহ থেকে ইউহান্না ইঞ্জিল এ বিষয়টি সবচেয়ে বেশী সাব্যস্ত করে। 3- শরীআত: ইঞ্জিলসমূহ থেকে প্রতিয়মান হয় যে, এগুলো মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীআতকে স্বীকার করেছে। তবে মাসীহের পরিবর্তন সম্পর্কে যে বর্ণনা রয়েছে তা ছাড়া অথবা নির্ধারিত কিছু বিষয়ের রহিতকরণ ছাড়া। আর তা হলো, তালাক, ক্ষতের কিসাস, ব্যভিচারীকে পাথর নিক্ষেপ করা। 4- আখলাক: এ অংশে আদর্শ স্থাপনে, শীথিলতা প্রদর্শনে, ক্ষম করা ও মন্দকে ভালো দ্বারা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে বাড়াবড়ি প্রতিয়মান হয়। এটি ইঞ্জিলের কতক নসে যুদ্ধের প্রতি আহ্বান করার বিষয়টি না থাকাকে প্রমাণ করে না, তবে আদর্শ ও ক্ষমার বিষয়টি বেশী ছিল। 5- বিবাহ ও পরিবার গঠন: ইঞ্জিলগুলো বিবাহের বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। তবে তা থেকে সাধারণত এ কথা বুঝা যায় যে, বিবাহ না করা ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় সে ব্যক্তি থেকে যে বিবাহ করে নারীদের সাথে মেলামেশা করে। খৃষ্টানদের হাতে যে ইঞ্জিল রয়েছে তা ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিপিবদ্ধ করেননি এবং তা তার ওপর ওহী আকারে নাযিল হয়নি। কিন্তু তার পরবর্তীতে তা লিপিবদ্ধ করা হয়। যার ফলে তাতে বিভিন্ন বৈপরিত্ব ও মত প্রার্থক্য, রবকে অসম্পূর্ণ মনে করা, নবীগণের প্রতি খারাপ মন্তব্য করা, তাদের বিকৃতির কারণে জ্ঞান-বুদ্ধি ও নকলের পরিপন্থী বাতিল আকীদাহ পরিলক্ষিত হয়। তাদের নিকট এ সব কিতাবসমূহের ধারাবাহিক কোন সনদ নেই। তারা এসব কিতাব লিখার তারিখ সম্পর্কে অসংখ্য মতে বিভক্ত। যারা ইঞ্জিলের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলো বুলিস(শাউল আল-ইহুদী)। বিকৃতির পর ইঞ্জিল এমন সব বিকৃত আকীদাহ দ্বারা মিশ্রিত হয়েছে যা ঈসা আলাইহিস সালাম ও তার হাওয়ারীগণ জানতো না। বরং তা তিনটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আর তা হলো, তাসলিস, শুলি, কুরবানী এবং মানুষের জন্য মাসীহের মুহাসাবহ। খৃষ্টানদের নিকট এ চারটি ইঞ্জিল ঐক্যবদ্ধ ফরমান হিসেবে নির্বাচন করা সম্পন্ন হয়েছে ৩২৫ সালের নিকিয়া সম্মেলনে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই