পবিত্র - طُهْرٌ

হায়েয ও নিফাসের রক্ত থেকে মেয়েদের মুক্ত হওয়াকে তুহর (পবিত্রতা) বলে। পবিত্রতার দুটি আলামত রয়েছে। রক্ত পড়া বন্ধ হওয়া যাকে ফকীহগণ জাফাফ (الـجَفاف) বলে ব্যক্ত করেন। অর্থাৎ যখন নারী তার লজ্জাস্থানে কোন কাপড়ের টুকরা বা রুই (তুলা) প্রবেশ করানোর পর তা বের করে তখন তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অবস্থায় বের হয়। আর দ্বিতীয় আলামত হলো, সাদা স্রাব দেখা। আর তা হলো সাদা পানি যা হায়েয শেষ হওয়ার পর মহিলাদের লজ্জাস্থান হতে বের হয়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

গোসল - غُسْلٌ

আল-গুসল : গোসল বলা হয় সমস্ত শরীর ধৌত করা। আর এটি মাথার ওপর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত সমস্ত শরীরে পানি প্রবাহিত করার মাধ্যমে অর্জিত হয়। এর ভেতর ওয়াজিব গোসল হলো, সালাত ইত্যাদি বৈধ হওয়ার জন্যে বড় নাপাকি যেমন জানাবাত ও হায়েয দূর করার নিয়তে গোসল করা। আবার গোসল কখনো নৈকট্য লাভ ও সাওয়াবের উদ্দেশ্যে হয়। উদাহরণত মুস্তাহাব গোসলসমূহ। যেমন মক্কায় প্রবেশের সময় মুহরিমের গোসল করা, ঈদের দিনে গোসল করা ইত্যাদি। আর কখনো গোসল করা বৈধ। যেমন, পরিচ্ছন্নতার জন্য গোসল করা।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

তালাক - طَلاقٌ

তালাক: আর তা হচ্ছে শরয়ী পদ্ধতিতে বৈবাহিক সম্পর্ক ও দাম্পত্য জীবনের পবিত্রতা দূর করার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পৃথক হয়ে যাওয়া। চাই সেটা পুরোপুরিভাবে হোক যা তিন তালাকে বায়েন দেওয়ার মাধ্যমে আরোপিত হয়ে থাকে অথবা আংশিকভাবে হোক যেমন তালাকে রজয়ীর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এখানে বিবাহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো বিশুদ্ধ বিবাহ। আর যদি বিবাহ বাতিল বা ফাসিদ হয় তাতে তালাক শুদ্ধ হয় না। যেমন যাকে বিবাহ করেনি তাকে তালাক দেয়া। আর স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের মাঝে এ ধরণের সম্পর্ক নিশ্চিহ্ন করার জন্য মুখে শব্দ উচ্চারণ করতে হবে। আর সে শব্দ দুই প্রকার: ১- স্পষ্ট শব্দ, যেমন, তালাক শব্দ এবং তা থেকে নির্গত শব্দ। যেমন কেউ বলল, (طَلَّقْتُكِ) আমি তোমাকে তালাক দিলাম অথবা বলল, (أَنْتِ طالِقٌ) তুমি তালাক অথবা বলল, (أَنْتِ مُطَلَّقَةٌ) তুমি তালাক প্রাপ্তা। ২- অস্পষ্ট শব্দ। আর তা হলো কিনায় (ইশারা-ইঙ্গিতের) শব্দসমূহ। তার মধ্যে তালাকের নিয়ত থাকতে হবে। এগুলো অবস্থা-পরিবেশ বেধে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, বলল, (هذا آخرُ مَا بَيننا) এটি আমাদের মাঝে শেষ বোঝাপড়া ও দেখা অথবা বলল, (اغْرُبي عنِّي) তুমি আমার থেকে দূর হও অথবা বলল, (حبلُكِ على غاربِك) তোমার দায়িত্ব তোমার ঘাড়ে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

পবিত্রতা - طَهارَةٌ

পবিত্রতা দুই প্রকার: প্রথমত: নাপাকী থেকে পবিত্র হওয়া। আর এটি হচ্ছে, যে নাপাকী সালাত আদায়ে বারণ করে তা দূরীভূত করা এবং তা থেকে পবিত্র হওয়া। এটিকে তাহারাতে হুকমি বা মানুবি বলে। এটি আবার দুই প্রকার: ১-বড় পবিত্রতা: এটি হয় বড় নাপাকী যেমন, জানাবাত, হায়েয বা নিফাস থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য সমস্ত শরীর ধৌত করা। এটিকে গোসল বলে। ২—ছোট নাপাকী: আর এটি হয় ছোট নাপাকী দূর করার জন্যে শরীরের কিছু অঙ্গ ধৌত করা। যেমন পেশাব করা ও বায়ু বের হওয়া। এ ধরনের পবিত্রতা অর্জনকে ওজু বলা হয়। যখন পানি না পাওয়া যায় অথবা পানি ব্যবহার করতে অক্ষম হয়, তখন উভয় প্রকারের নাপাকীর বিকল্প হলো তায়াম্মুম করা। এটিও তাহারাতে হুকমী। দ্বিতীয়ত: নাপাক বস্তু থেকে পবিত্রতা। আর সেটি মানুষের শরীর, কাপড় বা স্থানের সাথে লেগে থাকা সব নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন করা। যেমন, পেশাব, পায়খানা ইত্যাদি। এটিকে তাহারাতে আইনী বা হিসসী বলা হয়।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

কিবলা - قِبْلَةٌ

আল-কিবলা: এটি হচ্ছে মুসল্লির তার সালাতের সময়কার সম্মুখ দিক। মুসলিমদের নিকট কিবল হলো কাবা শরীফ। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের পূর্বে সেটি ছিল ফিলিস্তিনে অবস্থিত বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদ। যেটিকে দুই কিবলার প্রথম কিবলা বলা হয়ে থাকে। কিবলা কখনো হুবহু কাবা হয়, আর এটি হলো যারা কাছে আছেন এবং কিবলাকে দেখছেন তাদের জন্য। অথবা কিবলা হয় দিক, এটি হচ্ছে দূরবর্তীদের জন্য।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

শয়তান - شَيْطانٌ

জিন আগুনের সৃষ্টি, তারা মুকাল্লাফ অর্থাৎ শরীআতের আদেশ-নিষেধ মান্য করতে আদিষ্ট। তাদের মধ্যে কেউ আছে মুমিন আবার কেউ কাফির। শয়তান তাদের থেকেই কাফের জিনের নাম। এটি (شَطن) থেকে নির্গত হওয়া বিশুদ্ধ, যার অর্থ হলো দূরীভুত হওয়া। কারণ, তার কুফর ও অবাধ্যতার কারণে সে হক থেকে দূরে সরে গেছে। আবার (شاطَ ) অর্থাৎ ধ্বংস হওয়া ও পুড়ে যাওয়া থেকে নির্গত হওয়াও বিশুদ্ধ। কারণ, শয়তান আগুনের তৈরি।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সতর ঢাকা - سَتْرُ العَوْرَةِ

লজ্জাস্থান ঢাকা (سَتْرُ العَوْرَةِ): মানুষের যে সব অঙ্গ খোলা রাখা দোষণীয় এবং যা খোলা রাখতে মানুষ লজ্জাবোধ করে এবং মানুষের দেহের যা প্রকাশ করা বৈধ নয়, সামর্থ্যের সময় তা ঢেকে রাখা, যদিও সে অন্ধকারে একা হয়। সতর ঢাকা দুই প্রকার: ১- সালাতের মধ্যে সতর ঢাকা। আর তা পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আর নারীদের জন্য চেহারা ও দুই কব্জি ছাড়া পুরো শরীর ঢেকে রাখা। এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হলো, কাপড় শরীরকে এমনভাবে ঢেকে রাখবে যাতে স্বাভাবিক দৃষ্টি দ্বারা তার গায়ের রং দেখা না যায়। ২- সালাতের বাহিরে সতর ঢাকা। আর তা পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আর নারীদের চার অবস্থা: 1- অপরিচিত লোকদের নিকট সারা শরীর ঢাকা। 2- পুরো শরীর ঢেকে রাখা। তবে ঘরের ভিতরে কাজ করার সময় সাধারণত যা খোলা থাকে তা ছাড়া। যেমন, মাথা, গর্দান, হাত ইত্যাদি। আর এ অবস্থা হবে মাহারিম ও নারীদের সামনে। 3- কোনো সতর না ঢাকা। আর এটি হলো তার স্বামীর সাথে। ৪- তার মত নারীর নিকট নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

অযু - وُضوءٌ

অযু হলো, নির্দিষ্ট অঙ্গে পবিত্র পানি ব্যবহার করা। আর সেটি হলো, নিজে পবিত্র এবং অন্যকেও পবিত্রকারী। আর নির্দিষ্ট অঙ্গ হলো, চেহারা, দুই হাত, দুই পা ও মাথা। এ অঙ্গগুলো নির্ধারিত নিয়মে ধৌত করতে হবে। আর তা হলো,আল্লাহর জন্য ইবাদত করার নিয়তে চেহারা, হাত ও পা ধোয়া এবং মাথা মাসেহ করা। চাই তা নাপাকী দূর করার জন্য হোক বা নতুন করে পবিত্রতা অর্জনের জন্য হোক প্রভৃতি। অযু করার পরিপূর্ণ নিয়ম হলো, বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করবে এবং বলবে বিসমিল্লাহ। দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধৌত করবে। কারণ, এ দুটি দ্বারা সে অন্যান্য অঙ্গ স্পর্শ করবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উযু শুরু করতেন তখন তিনি দুই হাতের তালুতে পানি ঢালতেন এবং পাত্রে হাত প্রবেশ করানোর আগে এ দু হাত ধৌত করতেন। ঘুম থেকে উঠার পর এ দুটি ধোয়ার গুরুত্ব বেশি। তারপর কুলি করবে, নাকে পানি নিবে ও নাক থেকে পানি ঝেড়ে ফেলবে। কুলি হলো, মুখে পানি প্রবেশ করিয়ে নাড়া চাড়া করে তা ফেলে দেওয়া। আর ইস্তেনশাক (الاستنشاقُ) হলো, নাকে পানি প্রবেশ করানো। আর ইস্তেনসার (الاستنثارُ) হলো, নাক থেকে পানি বের করা। তারপর চেহারা এবং দুই হাত আঙ্গুলের মাথা থেকে কনুই পর্যন্ত ধোয়া। দুই কনুই ধোয়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করবে। ডান হাত দিয়ে ধোয়া শুরু করবে এবং আঙ্গুলগুলো খিলাল করবে। তারপর দুই হাতে কব্জি ভিজিয়ে একবার পুরো মাথা মাসেহ করবে। পুরো মাথা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, পুরো মাথা মাসেহ করা, প্রত্যেক চুলে পানি পৌঁছানো নয়। উত্তম হলে, দুই হাতের তালুকে মাথার সামনের ভাগে রেখে পিছনের দিকে নিয়ে যাবে তারপর পুনরায় আবার সামনে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এ ক্ষেত্রে নারীরাও পুরুষের মতো। তারপর দুই পা ধৌত করবে। ডান পা দিয়ে শুরু করে তা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে। তারপর একই নিয়মে বাম পা ধৌত করবে। দুই পায়ের আঙ্গুল নিজ হাতে খিলাল করবে। মাথা মাসেহ করা ছাড়া বাকী সব কর্মগুলো একবার বা দুইবার বা তিনবার ধৌত করবে। তবে মাথা মাসেহ একবার করবে।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই

সতর - عَوْرَةٌ

সতর এমন একটি বিষয় যা হিফাযত করার প্রতি শরীয়ত প্রণেতা খুব গুরুত্ব দিয়েছেন এবং এটি একটি মৌলিক নীতির অর্ন্তভুক্ত হয়। আর তা হলো ইয্যতের হিফাযত করা। সতর দুই প্রকার: প্রথম: সালাতের ভিতরে সতর। একে সালাতের আওরোত (عَوْرَةَ الصَّلاةِ) বলে। আর তা হলো যা সালাতে ঢেকে রাখা ওয়াজিব। দ্বিতীয়: সালাতের বাহিরে সতর। এটিকে নজরের আওরাত (عَوْرَةَ النَّظَرِ) বলে। আর তা হলো, সালাতের বাহিরে শরীরের যে সব অংশ প্রকাশ না করা এবং ঢেকে রাখা ওয়াজিব।

ভাষান্তরিত: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান রুশিয়ান পর্তুগীজ বাংলা চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান মালয়ালাম তেলেগু থাই