আল-গুসল : গোসল বলা হয় সমস্ত শরীর ধৌত করা। আর এটি মাথার ওপর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত সমস্ত শরীরে পানি প্রবাহিত করার মাধ্যমে অর্জিত হয়। এর ভেতর ওয়াজিব গোসল হলো, সালাত ইত্যাদি বৈধ হওয়ার জন্যে বড় নাপাকি যেমন জানাবাত ও হায়েয দূর করার নিয়তে গোসল করা। আবার গোসল কখনো নৈকট্য লাভ ও সাওয়াবের উদ্দেশ্যে হয়। উদাহরণত মুস্তাহাব গোসলসমূহ। যেমন মক্কায় প্রবেশের সময় মুহরিমের গোসল করা, ঈদের দিনে গোসল করা ইত্যাদি। আর কখনো গোসল করা বৈধ। যেমন, পরিচ্ছন্নতার জন্য গোসল করা।
লজ্জাস্থান ঢাকা (سَتْرُ العَوْرَةِ): মানুষের যে সব অঙ্গ খোলা রাখা দোষণীয় এবং যা খোলা রাখতে মানুষ লজ্জাবোধ করে এবং মানুষের দেহের যা প্রকাশ করা বৈধ নয়, সামর্থ্যের সময় তা ঢেকে রাখা, যদিও সে অন্ধকারে একা হয়। সতর ঢাকা দুই প্রকার: ১- সালাতের মধ্যে সতর ঢাকা। আর তা পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আর নারীদের জন্য চেহারা ও দুই কব্জি ছাড়া পুরো শরীর ঢেকে রাখা। এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হলো, কাপড় শরীরকে এমনভাবে ঢেকে রাখবে যাতে স্বাভাবিক দৃষ্টি দ্বারা তার গায়ের রং দেখা না যায়। ২- সালাতের বাহিরে সতর ঢাকা। আর তা পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আর নারীদের চার অবস্থা: 1- অপরিচিত লোকদের নিকট সারা শরীর ঢাকা। 2- পুরো শরীর ঢেকে রাখা। তবে ঘরের ভিতরে কাজ করার সময় সাধারণত যা খোলা থাকে তা ছাড়া। যেমন, মাথা, গর্দান, হাত ইত্যাদি। আর এ অবস্থা হবে মাহারিম ও নারীদের সামনে। 3- কোনো সতর না ঢাকা। আর এটি হলো তার স্বামীর সাথে। ৪- তার মত নারীর নিকট নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা।
সতর এমন একটি বিষয় যা হিফাযত করার প্রতি শরীয়ত প্রণেতা খুব গুরুত্ব দিয়েছেন এবং এটি একটি মৌলিক নীতির অর্ন্তভুক্ত হয়। আর তা হলো ইয্যতের হিফাযত করা। সতর দুই প্রকার: প্রথম: সালাতের ভিতরে সতর। একে সালাতের আওরোত (عَوْرَةَ الصَّلاةِ) বলে। আর তা হলো যা সালাতে ঢেকে রাখা ওয়াজিব। দ্বিতীয়: সালাতের বাহিরে সতর। এটিকে নজরের আওরাত (عَوْرَةَ النَّظَرِ) বলে। আর তা হলো, সালাতের বাহিরে শরীরের যে সব অংশ প্রকাশ না করা এবং ঢেকে রাখা ওয়াজিব।