নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত পড়া একটি মহান ইবাদত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তার সম্মান ও মর্যাদা। সালাতের শব্দাবলীর অন্যতম হলো صلّى اللهُ عليه وسلّم বলা (আল্লাহ তার ওপর সালাত ও সালাম প্রেরণ করুন)। আর নূন্যতম বলা হলো (اللَّهُمَّ صلِّ على مُحَمَّدٍ) হে আল্লাহ মুহাম্মাদের উপর সালাত নাযিল করুন। আর উত্তম হলো সালাতে (দুরুদে) ইবরাহীমী। আর তা হলো এ কথা বলা, (للَّهُمَّ صلِّ على مُحَمَّدٍ، وعلى آل مُحَمَّدٍ، كما صَلَّيْتَ على آل إبْراهِيمَ إنّك حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بارِك على مُحَمَّدٍ وعلى آل مُحَمَّدٍ، كما بارَكْتَ على إِبْراهِيمَ، إنّك حَمِيدٌ مَجِيدٌ) এ দরুদের আরও বর্ণনা রয়েছে। হাদীসে বর্ণিত (اللَّهمَّ صَلِّ عليه) এর অর্থ: হে আল্লাহ আপনি উর্ধ্বজগতে আপনার সম্মানিত মালায়েকাদের মাঝে তাঁর প্রশংসা করুন।
ইস্তেগফার একটি মহান ইবাদত; চাই তা গুনাহের সাথে হোক বা গুনাহ ছাড়া।এটি কখনো এককভাবে ব্যবহার হয়, তখন তা তাওবার সমর্থক হয়। আর তা হচ্ছে, অন্তর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্ধারা গুনাহ থেকে বিরত থাকা। আবার কখনো তাওবার সাথে মিলিয়ে ব্যবহৃত হয়, তখন ইস্তেগফারের অর্থ হলো, যা অতীত হয়েছে তার অনিষ্ঠতা থেকে হেফাযত কামনা করা। তাওবাহ হলো, ফিরে আসা এবং একজন ব্যক্তি তার কুকর্মের মন্দ পরিণতি থেকে ভবিষ্যতে হেফাযত কামনা করা। ইস্তেগফার শব্দটি বিভিন্ন বাক্যে ব্যবহার হয়েছে। যেমন কেউ বলল, (رَبِّ اغْفِرْ لِي) হে রব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। আবার কেউ বলল, (أَسْتَغْفِرُ اللهَ) আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই ইত্যাদি বাক্য।