আল্লাহ মাখলুককে ইসলাম ও তাওহীদের ওপর সৃষ্টি করেছেন। ফলে প্রতিটি মানুষের স্বভাবের দাবি হলো ইসলাম কবুল করা. ইসলামকে জানা ও মহব্বত করা। ফিতরাত বা স্বভাব স্রষ্টাকে স্বীকার করতে, মুহাব্বত করতে এবং কেবল তার জন্য যাবতীয় ইবাদত সম্পাদন করতে বাধ্য করে। স্বভাবের দাবি ও চাহিদসমূহ স্বভাবের পূর্ণতা অনুযায়ী একটির পর একটি লাভ হয় যখন তা বাধা হতে নিরাপদ হয়। আর যখন ফিতরাত নিরাপদ না হয়, তা শয়তান, প্রবৃত্তি ও বিভিন্ন গোমরাহীর দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারণে বিকৃত হয়ে পড়ে। ফিতরাত সাধারণত আল্লাহর নিকট থেকে নাযিলকৃত শরীআত দ্বারা পরিপূর্ণ। কারণ, ফিতরাত বিষয়গুলো সংক্ষেপে জানে আর শরীআত তার ব্যাখ্যা প্রদান করে। সুতরাং শরীআতের বিস্তারিত জানার ক্ষেত্রে স্বভাব বা ফিতরাত স্বয়ং সম্পন্ন নয়। এ কারণে আল্লাহ ফিতরাতকে পরিপূর্ণ করার জন্যে তাদের নিকট রাসূলগণ প্রেরণ করেন।
ইসলাম হলো সত্য দীন। এটি ছাড়া অন্য কোনো দীনকে আল্লাহ কারো থেকে কবুল করবেন না। এটি হলো বিশেষ অর্থ। ইসলাম তার সামগ্রিক অর্থে দুই ভাগে বিভক্ত হয়: প্রথম: ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় আল্লাহর কাওনী ও কাদরী বিষেয়র আনুগত্য করা ও মেনে নেওয়া। এ ধরনের মেনে নেওয়াতে কারো কোনো স্বাধীনতা নাই এবং তাতে কোনো সাওয়াবও নাই। দুই: আল্লাহর শরীআতের আনুগত্য করা ও মেনে নেওয়া। এটি হলো সে ইসলাম যার ওপর মানুষকে প্রসংশা করা হয় এবং সাওয়াব দেওয়া হয়ে থাকে। এটিকেও আম ও খাস দুই ভাগে ভাগ করা হয়: 1- আম-ব্যাপক: এটি হলো সে দীন যা নিয়ে নূহ আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সব নবীর আগমন ঘটেছে। আর তা হলো, এক আল্লাহর ইবাদত করা, তার কোনো শরীক নেই এবং তার শরীআতকে প্রতিষ্ঠা করা। 2- খাস বা বিশেষ: আর তা হলো, সে শরীআত যা নিয়ে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসেছেন। তার রয়েছে দুটি ব্যবহার: এক: প্রকাশ্য কথা ও কর্ম। আর তা হলো পাঁচ রুকন ও তার আনুসাঙ্গিক বিষয়। দুই: এটি বাহ্যিক আমাল ও বাতেনী বিশ্বাসকে সামিল করে। যেমন, ঈমানের ছয়টি রুকন ও তার আনুসাঙ্গিক বিষয়।