কবর হলো আখিরাতের প্রথম ঘাঁটি। এটি জান্নাতের বাগানসমূহের একটি বাগান বা জাহান্নামের গর্তসমূহের একটি গর্ত। আর এটি হলো সে সব স্থান যেখানে মৃত ব্যক্তির দেহকে দাফন করা হয়। এ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মৃতের লাশকে ঢেকে দেওয়া, তার সম্মান অক্ষুন্ন রাখা যাতে তার দুর্গন্ধ দ্বারা অন্যরা কষ্ট না পায় এবং তাকে হিংস্র প্রাণি কর্তৃক খুলে ফেলা থেকে রক্ষা করা যাতে সে তাকে খেতে না পারে।
বারযাখ হলো মানুষের মৃত্যু ও পূনরুত্থানের মাঝের জগত। এ বারযাখে অনুগতদের নিয়ামত এবং কাফেরদের শাস্তি দেয়া হয় আর কতক পাপীকেও শাস্তি দেয়া হয় যাকে আল্লাহ শাস্তি দেয়ার ইচ্ছা করেন। অতএব বারযাখ হলো কবরের আযাব ও তার নিয়ামতের স্থান। আত্মাসমূহ বারযাখে তাদের অবস্থানস্থলে বিশাল তারতম্যে থাকবে। তাদের কতকের আত্মাসমূহ উর্ধ্ব জগতের উর্ধ্ব ইল্লিয়্যিনে থাকবে। আর সে গুলো হলো, নবীদের আত্মাসমূহ। তারাও স্তরভেদে বিভিন্ন হবে। যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মিরাজের রাতে দেখেছেন। আর কতকের আত্মা থাকবে হলদে পাখির পেটে যারা জান্নাতে তাদের ইচ্ছানুযায়ী ঘোরা ফেরা করবে। আর এগুলো হলো, কতক শহীদগণের আত্মা, সবার নয়। কারণ, কতক শহীদের আত্মাকে তার ওপর ঋণ ইত্যাদি থাকার কারণে জান্নাতের প্রবেশ থেকে বিরত রাখা হবে। আর তাদের কতককে জান্নাতের দরজার ওপর আঁটকে রাখা হবে। আবার কতককে তার কবরে আঁটকে রাখা হবে।